ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য দ্বিতীয় প্রশাসনে শীর্ষ পদের কারা জায়গা পাচ্ছেন তা নিয়ে জল্পনা চলছে জোরালো। এরইমধ্যে ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন, জাতিসংঘের নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও উভয়ই তার দ্বিতীয় মেয়াদের মন্ত্রিসভায় জায়গা পাবেন না।
সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন, হ্যালি এবং পম্পেও তার প্রথম মেয়াদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তবে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রশাসনে তারা যোগ দেবেন না।
রোববার (১০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেছেন, ‘নিকি এবং মাইক উভয়ের সাথেই আমার একটি দুর্দান্ত সম্পর্ক ছিল, তবে তারা আমার দ্বিতীয় প্রশাসনে আমন্ত্রণ পাবেন না।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘তাদের সঙ্গে কাজ করার সময়টা আমি খুবই উপভোগ করেছি এবং আমাদের দেশের জন্য তাদের সেবার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
হ্যালি, ট্রাম্পের অধীনে ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছিলেন। দক্ষিণ ক্যারোলিনার সাবেক এই গভর্নর এই বছর রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনয়ন পেতে ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে তাকে প্রেসিডেন্ট পদে সমর্থন জানান। আর পম্পেও ট্রাম্পের প্রশাসনে ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এবং এর আগে তিনি সিআইএ-এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
যদিও ট্রাম্প তার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আরও বিশদ তথ্য প্রদান করেননি, তবে মনে করা হচ্ছে, প্রশাসন পুনর্গঠনে ট্রাম্পের এই দৃষ্টিভঙ্গি নতুন প্রতিভা এবং নতুন নেতৃত্ব তৈরির মনোনিবেশ।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো পরামর্শ দিয়েছে, তিনি এমন ব্যক্তিদের আনার পরিকল্পনা করছেন যারা তার ‘আমেরিকা সবার আগে’ নীতির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। যে সব কর্মকর্তা তার নীতি বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার বিষয়গুলো এমনভাবে কার্যকর করতে পারে, যা মার্কিন রাজনীতির পরিবর্তনশীল গতিশীলতাকে প্রতিফলিত করে।