মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভূমিধস জয়ে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন ট্রাম্প। সেদিন থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ও দায়িত্ব, দুই-ই পাবেন।
এদিকে, ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাসদস্য মোতায়েন ও অরাজনৈতিক কর্মকর্তাদের বড় একটি অংশকে চাকরিচ্যুতির আদেশ দিতে পারেন। এমন অবস্থা দেখা দিলে কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা করছেন পেন্টাগনের কর্মকর্তারা।
মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের অনানুষ্ঠানিক এ আলোচনার আগে ট্রাম্প অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ও গণহারে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে পাঠাতে ‘অ্যাকটিভ-ডিউটি’তে থাকা সদস্যদের কাজে লাগানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারে অনুগত ব্যক্তিদের ব্যাপক হারে নিয়োগ ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো থেকে ‘দুর্নীতিবাজ’ কর্মকর্তাদের বাদ দেওয়ার ইঙ্গিত দেন।
ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর প্রস্তুতি চলছে। প্রতিরক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সবচেয়ে খারাপ দৃশ্য সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছি ও পরিকল্পনা সাজাচ্ছি। তবে এসব কীভাবে (কার্যকর) হবে, আমরা এখনো তা জানি না।’
নির্বাচনে ট্রাম্প জেতায় পেন্টাগনের ভেতর প্রশ্নও উঠেছে, যদি তিনি বেআইনি আদেশ দেন, বিশেষ করে এ বিভাগে তাঁর নিয়োগ দেওয়া রাজনৈতিক নেতারা যদি পিছু না হটেন, তখন কী হবে। এ বিষয়ে আরেক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘সেনাদের বিধিবহির্ভূত আদেশ অমান্য করার অধিকার আইনেই আছে। তবে প্রশ্ন হলো, এরপর কী হবে। আমরা কি জ্যেষ্ঠ সামরিক নেতাদের পদত্যাগ করতে দেখব?’
পেন্টাগনকে নেতৃত্ব দেওয়ার ভার ট্রাম্প কাকে দেন, সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। তবু কর্মকর্তারা আশা করেন, ট্রাম্প ও তাঁর নিয়োগ করা কর্মকর্তারা সামরিক নেতাদের সঙ্গে ‘বৈরী’ সম্পর্ক এড়ানোর চেষ্টা করবেন; যেমন সম্পর্ক তাঁর প্রথম মেয়াদে দেখা গেছে।
সূত্র: সিএনএন