যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশটিতে অবস্থান করা অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করার পরিকল্পনা রয়েছে তার। এ কাজে প্রয়োজনে সামরিক বাহিনীও ব্যবহার করা হবে।
মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করায় ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষুব্ধ। প্রথম মেয়াদে তিনি সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণ শুরু করেছিলেন। এটার লক্ষ্য ছিল অভিবাসন প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা। এবারের নির্বাচনে ট্রাম্পের অন্যতম প্রধান প্রতিশ্রুতি ছিল যুক্তরাষ্ট্রকে অবৈধ অভিবাসীমুক্ত করা।
ট্রাম্পের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একজন রক্ষণশীল অধিকারকর্মী লেখেন, ‘বাইডেনের কারণে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের প্রকল্পটি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ট্রাম্প এই প্রকল্প আবার চালু করতে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি এবং সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’ এ পোস্টটি পরে শেয়ার করে ট্রাম্প মন্তব্য করেন, ‘সত্যি।’
ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে শপথ গ্রহণ করবেন। তার আগেই নতুন প্রশাসন সাজানোর কাজে মনোযোগ দিয়েছেন তিনি। অভিবাসন বিষয়ে কট্টরপন্থী টম হোম্যানকে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দিয়েছেন ট্রাম্প।
সরকারি তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসী বসবাস করছে। ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে তা অন্তত ২ কোটি পরিবারের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।