বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন ব্রিটিশ সাংসদরা। সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সহিংসতায় ব্রিটিশ পার্লামেন্টে উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা। খবর দ্য ইকনোমিকস টাইমস ও হিন্দুস্থান টাইমসের।
সোমবার যুক্তরাজ্যের হাউস অফ কমন্সে লেবার এমপি ব্যারি গার্ডিনার বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেন।
জবাবে ইন্দো-প্যাসিফিকের দায়িত্বে থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্ট জানান, গত মাসে তার বাংলাদেশ সফরের সময় অন্তর্বর্তী সরকারের তরফ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে, সেদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সহযোগিতা করা হয়।
ক্যাথরিন ওয়েস্ট বলেন, ‘হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর ভারত সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করে যে বিবৃতি দিয়েছেন, তা নিয়ে আমরা ওয়াকিবহাল। ঘটনার দিকে নজর রেখেছে ইংল্যান্ডের ফরেন, কমনওয়েলথ ও ডেভেলপমেন্ট অফিস। ইংল্যান্ড সরকার পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা জারি রাখবে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে বোঝানোর চেষ্টা করবে, ধর্মীয় বিশ্বাসের স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা কথা। বিশেষ করে সেটা যখন হিন্দু সম্প্রদায়কে আঘাত করছে।’
ছায়া পররাষ্ট্র সচিব ও কনজারভেটিভ এমপি প্রীতি প্যাটেল উল্লেখ করেছেন, ‘সহিংসতার বৃদ্ধির মাত্রা গভীর থেকে গভীরতর উদ্বেগজনক।’
তার দলের সহকর্মী এবং অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) চেয়ারম্যান বব ব্ল্যাকম্যান উদ্বেগের প্রতিধ্বনি তুলে ধরে বলেন, ‘হিন্দুদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া এবং তাদের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করায় তারা কষ্ট পাচ্ছ। সংখ্যালঘুদের তাদের ধর্মের কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে নির্যাতিত করা হচ্ছে।’
ব্রিটিশ শিখ লেবার এমপি গুরিন্দর সিং জোসানসহ আরও বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।