ঢাকা
১০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সকাল ৮:৫৪
logo
প্রকাশিত : নভেম্বর ২৪, ২০২৪

অবশেষে দরিদ্র দেশগুলোকে ৩০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি

জলবায়ু পরিবর্তনে প্রস্তুতি ও প্রতিরোধে সাহায্য করার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে রেকর্ড ৩০০ বিলিয়ন ডলার (৩০ হাজার কোটি) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ধনী দেশগুলো। শনিবার আজারবাইজানের কপ২৯ সম্মেলনে দীর্ঘ আলোচনা ও দর-কষাকষির পর অবশেষে দেশগুলো এ বিষয়ে সমঝোতায় আসতে সক্ষম হয়েছে। খবর বিবিসির।

জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক সংস্থার প্রধান সাইমন স্টিয়েল বলেছেন, এটি একটি কঠিন যাত্রা ছিল, তবে আমরা একটি চুক্তিতে সম্মত হতে পেরেছি।

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, জলবায়ু সংকটের ঝুঁকিতে থাকা দরিদ্র দেশগুলোকে প্রতিবছর ৩০০ বিলিয়ন ডলার দেবে পরিবেশ দূষণকারী ধনী দেশগুলো। ২০৩৫ সাল পর্যন্ত এ অর্থ দেওয়া হবে। প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে একমত হয়েছেন।

চলতি বছর কপের ২৯তম আসর শুরু হয় গত ১১ নভেম্বর। গত শুক্রবার এই সম্মেলন শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে জলবায়ু তহবিলে অর্থায়নের বিষয়ে কোনো সমঝোতা না হওয়ায় সময় আরও একদিন বাড়ানো হয়। অবশেষে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর বাংলাদেশ সময় রোববার ভোরে এ বিষয়ে একটি চুক্তিতে একমত হয়েছে কপের সদস্য দেশগুলো।

ধনী দেশগুলোর বিরুদ্ধে জলবায়ু তহবিলে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না দেওয়ার অভিযোগ তুলে শনিবার রাতে সম্মেলন বর্জনের ঘোষণা দেয় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো। তবে পরে আবার আলোচনায় যোগ দেয় তারা।

২০৩৫ সাল পর্যন্ত দরিদ্র দেশগুলোকে প্রতিবছর কমপক্ষে ৩০০ বিলিয়ন ডলার দেবে ধনী দেশগুলো। এই প্রস্তাবেও অসন্তোষ ছিল দরিদ্র দেশগুলোর। তাদের অভিযোগ, এই বরাদ্দও অপ্রতুল।

বর্তমানে এই তহবিলে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার জমা দিচ্ছে উন্নত দেশগুলো। জলবায়ু তহবিলে জমা দেওয়া এই অর্থ দরিদ্র দেশগুলোর অর্থনীতিকে আরও পরিবেশবান্ধব করতে এবং দেশগুলোয় জলবায়ু সংকটের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যয় করা হয়।

রোববার ভোরের দিকে চুক্তিতে কিছু পরিবর্তন এনে অবশেষে এই বিষয়ে একমত হয়েছে ধনী দেশগুলো। তবে ভারতের একটি বক্তব্যে প্রকাশ পেয়েছে যে, এখনও কিছুটা অসন্তোষ রয়ে গেছে।

ভারতীয় প্রতিনিধি বলেন, আমরা এটা মেনে নিতে পারি না… প্রস্তাবিত লক্ষ্য আমাদের জন্য কিছু সমাধান করবে না। আমাদের দেশের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় জলবায়ু কার্যক্রমের জন্য এটি অনুকূল নয়।

অপরদিকে সুইজারল্যান্ড, মালদ্বীপ, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়াসহ দেশগুলো প্রতিবাদ করেছে যে, জীবাশ্ম জ্বালানির বৈশ্বিক ব্যবহার হ্রাস করার বিষয়ে যা বলা হচ্ছে তা আসলে খুবই দুর্বল।

সর্বশেষ
logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2024 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram