লিভারপুলকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছেন দলটির কোচ ইয়ূর্গেন ক্লপ। ক্লাব ছাড়ার কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছিলেন প্রাণ শক্তি ফুরিয়ে যাওয়ার কথা। ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলাও এবার বললেন একই কথা। জানিয়ে দিলেন নতুন করে আর সিটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহী নন তিনি। এত বছর এই ক্লাবে থাকে কিছুটা ক্লান্ত তিনিও। নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে নতুন ঠিকানায় পাড়ি জমাতে চান গার্দিওলা।
২০১৬ সালে বায়ার্ন মিউনিখ অধ্যায়ের ইতি টেনে ম্যানচেস্টার সিটির দায়িত্ব নেন গার্দিওলা। এসে প্রথম মৌসুমে কোনো ট্রফি জিততে না পারলেও পরের মৌসুমেই সিটিকে জেতান দুটি ট্রফি। প্রিমিয়ার লিগের সেরা ক্লাব করেন সিটিকে। এরপর তো সবশেষ চার মৌসুমে সিটিকে টানা লিগ চ্যাম্পিয়ন করে রেকর্ডই গড়ে দেখিয়েছেন।
এই সময়ে সিটিকে সম্ভাব্য সবরকম শিরোপা জিতিয়েছেন গার্দিওলা। সব মিলিয়ে সিটিকে জিতিয়েছেন ১৭টি ট্রফি। সিটিতে ৮ মৌসুমের ক্যারিয়ারে ক্লাবকে জিতেয়েছেন ৬টি লিগ শিরোপা, চারটি লিগ কাপ, ২টি এফএ কাপ, ২টি শেফিল্ড শিল্ড, একবার করে সিটিকে জিতেয়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ ও উয়েফা সুপার কাপ। এমন সাফলেও পরও সিটিতে আর থাকতে চান না তিনি। আসছে ২০২৫ সালের জুনে মৌসুম শেষেই বিদায় বলতে চান তিনি। নতুন করে আর চুক্তি নবায়ন করতে আগ্রহী নন এই স্প্যানিশ কোচ।
আগামীকাল তার অধীনে এসি মিলানের বিপক্ষে ক্লাব ফ্রেন্ডলি ম্যাচে মাঠে নামবে ম্যানসিটি। সেই ম্যাচের আগে নিজের বিদায় নিয়ে গার্দিওলা বলেন, ‘আমি নিশ্চয় এখানে আরও আট বছর থাকছি না। তাই আমি থেকে যাওয়ার চেয়ে চলে যাওয়ার কাছাকাছি আছি। তবে আমি এটা বলিনি যে আমি চলে যাচ্ছি। আর যখন চলে যাব, আমি বলব আমি চলে যাচ্ছি। কিন্তু এখনো আমি তা বলিনি। আমরা ক্লাবের সঙ্গে কথা বলেছিলাম, তাদের জানিয়েছি এখানে অনেক বছর হয়েছে, কাজেই আমরা দেখব কী হয়।’
নিজের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর প্রশ্নে গার্দিওলা বলেন, ‘আমি চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দেব না। কারণ আমি থাকতে চাই। আবার আমি চাই না এটা ঘটুক, আমি আসলে আমার অনুভূতি অস্বীকার করতে চাই না। আমি আমার খেলোয়াড়দের দেখতে চাই এবং নিশ্চিত হতে চাই যে এটা সঠিক সিদ্ধান্ত, শুধু আমার জন্য নয়, ক্লাবের জন্য এবং খেলোয়াড়দের জন্য। আমি দেখব এখনো তারা আট বছর ধরে যেভাবে লড়েছে সেভাবে দৌড়ায় কিনা। তবে আমি নিশ্চিত যে আমি আরও আট বছর থাকব না। কারণ আমি মনে করি রিফ্রেশ করা ভাল- খেলোয়াড়, পরিচালনায় বদল আসা উচিত।’