ইনিংসের তৃতীয় বলে দিলারা আক্তারের ছক্কা। ভালো শুরুর স্বপ্নের ইতি ঘটে অবশ্য পরের বলেই। দ্বিতীয় ওভারে আবার ইশমার ঝলক। তিনিও থেমে যান দ্রুত।
প্রথম ২ ওভারে ১৬ রান তোলা বাংলাদেশ পরের ১৮ ওভারে তোলে মাত্র ৬৪ রান! সবমিলিয়ে নারী এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে মাত্র ৮০ রান করে বাংলাদেশ। ফল ৫৪ বল আগেই ১০ উইকেটে হার।
ডাম্বুলায় হারের পর সতীর্থদের মানসিকতায় সমস্যার কথা বলছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তার মতে প্রতিপক্ষ ভারত হলেই সতীর্থরা ভিন্ন খেলা খেলে।
‘তাদের শট খেলার সামর্থ্য আছে। পুরো বিষয়টা মানসিক। কারণ, যখনই ভারতের বিপক্ষে খেলে, তারা ভিন্নভাবে খেলে’-বলছিলেন জ্যোতি।
একপ্রান্ত আগলে রেখে একাই লড়েছিলেন জ্যোতি। যদিও তার ইনিংসটি টি-টোয়েন্টি সুলভ ছিল না। অপরপ্রান্তে উইকেটের মিছিলে বাংলাদেশ দলনেতার কাছে বিকল্প কিছু ছিল না। তার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৩২ রান। বল খরচ করেন ৫১টি।
এর আগের ম্যাচে বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ৩ উইকেটে ১৯১ রান করে, তার আগের ম্যাচে থাইল্যান্ডকে হারিয়েছে ৭ উইকেটে। জ্যোতি টেনেছেন এসব ম্যাচে সতীর্থদের পারফর্ম্যান্সের কথাও।
‘টপ-অর্ডার রান না পেলে দলের জন্য ভালো স্কোর দাঁড় করানো খুব কঠিন হয়ে যায়। আমি মনে করি এটা মানসিক ব্যাপার। মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা যেভাবে খেলেছি, পুরোপুরি ভিন্ন ছিল।’
সামনেই ঘরের মাঠে আছে বিশ্বকাপ। এশিয়া কাপের ভুল শুধরে জ্যোতি নামতে চান বিশ্বমঞ্চে, ‘অবশ্যই আমাদের ব্যাটিং নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে। শুধুমাত্র এটির কারণে আমরা অনেক ম্যাচ হেরে যাচ্ছি। কোচিং স্টাফ অবশ্যই ভালো পরিকল্পনা নিয়ে আসবে। আমাদের জন্য এটি ভালো অভিজ্ঞতা ছিল। বিশ্বকাপের আগে আমরা ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করব।’