বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সোমবার পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। দেশ পরিচালনায় দেশের সর্ব মহলের সমন্বয়ে গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আর এই অবস্থায় দাবি উঠেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকেও রাজনীতিমুক্ত করার।
বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট ও ফুটবল ছাড়াও প্রায় সব ফেডারেশনগুলোতে দীর্ঘ দিন ধরেই ক্ষমতার চেয়ারে বসে আছেন আওয়ামী লিগের নেতাকর্মীরা। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সদ্য পদত্যাগ করা সরকারের ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সদস্য ছিলেন।
অন্যদিকে ফুটবলের প্রধান কাজী সালাহউদ্দিন ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত কাছের লোক। বাফুফের সহ-সভাপতি সালাম মুর্শিদী ছিলেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য। এছাড়াও প্রতিটি বোর্ড দখল করে আছেন আওয়ামী লীগের উচ্চপদস্থ রাজনৈতিক বর্গ।
শেখ হাসিনার পতনের পর দাবি উঠেছে এসব চেয়ার থেকে তাদের সরে দাঁড়ানোর। কেননা, দীর্ঘ বছরেও তাদের অধীনে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পায়নি বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন। উল্টো, নানা সময় বিভিন্ন মন্তব্য করে ভক্তদের রোষানলে পড়েছেন তারা। তাই তাদের বিদায় এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
সরকারের পতনের পর ক্রিকেট, ফুটবল, হকিসহ সব বোর্ডকেই রাজনীতিমুক্ত দেখতে চায় সাধারণ জনতা। এক্ষেত্রে দেশকে প্রতিনিধিত্বকারী সাবেক ক্রীড়াবিদদের স্বস্ব বোর্ডের দায়িত্বে দেখতে চান তারা। সাবেক ও বর্তমান সময়ের ক্রীড়াবিদদের দাবি প্রায় একই রকম। রাজনীতিমুক্ত ক্রীড়াঙ্গনে দল মত নির্বিশেষে সকলেই সমান সুযোগ সুবিধা চান তারা। যোগ্যতার ভিত্তিতে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চান ক্রীড়াবিদরা। বইয়ে আনতে চান সম্মান।