দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে রাওয়ালপিন্ডিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদের বোলিং তোপে মাত্র ১৬ রান তুলতেই আব্দুল্লাহ শফিক, শান মাসুদ এবং বাবর আজমকে হারায় পাকিস্তান। তবে বিপর্যয়ের মুখে স্বাগতিকদের পথ দেখিয়েছেন সাইম আইয়ুব ও সৌদ সাকিল। তাদের দু’জনের হাফ সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন শেষে ৪ উইকেটে ১৫৮ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। তবে পাকিস্তানকে দুইশর আশেপাশে আটকে দেয়ার স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ।
প্রথম দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে ডানহাতি পেসার হাসান মাহমুদ বলেন, আমি বা এখনও এটা নিয়ে ভাবিনি। কিন্তু যতটা দ্রুত তাদের আটকে দেয়া যায় সেটা আমরা চেষ্টা করব। আগামীকাল আমরা নতুন পরিকল্পনা নিয়ে আসব এবং আমরা সঠিক জায়গা ধরে বোলিং করার চেষ্টা করব। যাতে করে তাদের আমরা দুইশর নিচে কিংবা এর আশেপাশে আটকে দিতে পারি।
টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরু থেকে দলের পরিকল্পনা কি ছিলো এ সম্পর্কে হাসান মাহমুদ বলেন, আমাদের প্ল্যান ছিল আমরা যতটা পারি ব্যাটারকে খেলানো সামনে। নতুন বল ছিল মুভমেন্ট ছিল। চেষ্টা করেছি যতটা সামনে বল করা যায়। একটা লাইন মেইনটেইন করা যায়। আমরা চেষ্টা করেছি যতটুকু আমাদের সামর্থ্য ছিল। ইন শা আল্লাহ সামনে আরও ভালো করবো।
পেস বান্ধব উইকেটে বাংলাদেশ ৪ পেসার না খেলিয়ে ৩ পেসার খেলানোতে কোনো সমস্যা দেখছেন না হাসান মাহমুদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার মনে হয় এটা কোচ ক্যাপ্টেনের ব্যাপার। ৩ পেসার খেলানোতেও আমি কোনো সমস্যা দেখি না।
প্রথম দিনে পাকিস্তানের ৪ উইকেটের ৪ টি ই নিয়েছেন পেসাররা। দ্বিতীয় দিনেও উইকেট থেকে পেসাররা সাহায্য পাবেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে হাসান মাহমুদ বলেন, আসলে এটা সূর্যের উপর নির্ভর করছে। কাল সূর্য উঠলে উইকেট কিছুটা শক্ত হবে। পেসাররা কিছুটা সাহায্য পাবে হয়ত। ফলে সূর্যের উপর নির্ভর করছে।
ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের প্রসংশা করে হাসান মাহমুদ বলেন, অনেক গুরুত্বপূর্ণ, ফিল্ডারদের থেকে সাহায্য পাওয়াটা। ছেলেরা দারুণ ছিল ফিল্ডিংয়ে। দারুণ কিছু ক্যাচ নিয়েছে। দারুণ ব্যাপার। দিনশেষে এরা সতীর্থ। তারা অসাধারণ ছিল আজকে।