বাংলাদেশের বিপক্ষে কখনই টেস্ট হারেনি পাকিস্তান। কাল পর্যন্ত সেই গৌরব ছিল পাকিস্তানের। গৌরব ছিল নিজেদের মাটিতে কখনই ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে না হারার। রোববার রাওয়ালপিন্ডিতে সব চুরমার করে দিয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে ১০ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে রীতিমতো লজ্জায় ফেলে দিয়েছে স্বাগতিকদের, যা কোনোভাবেই হজম হচ্ছে না দেশটির সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদির। বাংলাদেশের বিপক্ষে এমন লজ্জাজনকভাবে হারায় উত্তরসূরিদের রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন এ সাবেক অধিনায়ক।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ৬ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৪৪৮ রান জমা করে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান। সুযোগ থাকার পরও ইনিংসটাকে টানেননি তারা। বরং বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়। সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৫৬৫ রান জমা করে বাংলাদেশ। লিড নেয় ১১৭ রানের। যার জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় শান মাসুদের দল। বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যটা মোটেই ৩০ রানের, যা ১০ উইকেট হাতে রেখেই টপকে গেছে বাংলাদেশ। তখনো বাকি পুরো একটা সেশন।
রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান তাদের একাদশে রেখেছিল ৪ পেসার। একাদশ ঘোষণা করেছিল দুদিন আগে। অন্যদিকে বাংলাদেশ তাদের একাদশে রেখেছিল দুই স্পিনার। শেষ পর্যন্ত সেটিই দারুণভাবে কাজে দিয়েছে। বাংলাদেশের জয়ের নায়ক স্পিনাররা, যা নিয়েই ম্যাচশেষে পাকিস্তানের অধিনায়ক ও টিম ম্যানেজমেন্টের সমালোচনা করেছেন শহিদ আফ্রিদি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে আফ্রিদি লিখেছেন, ‘১০ উইকেটের হার, এই ধরনের পিচ প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত, চারজন ফাস্ট বোলার খেলানো এবং বিশেষজ্ঞ স্পিনার না রাখা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। হোম কন্ডিশন সম্পর্কে সচেতনতার অভাব পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি আমি। একই সঙ্গে টেস্টজুড়ে যে ব্র্যান্ডের ক্রিকেট বাংলাদেশ খেলেছে, সেটার কৃতিত্ব তাদের দিতেই হবে।’
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে এখন ১-০ তে এগিয়ে বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটি মাঠে গড়াবে আগামী ৩০ আগস্ট রাওয়ালপিন্ডিতে। যেখানে সিরিজ বাঁচাতে জয়ের বিকল্প নেই পাকিস্তানের।