অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্বগ্রহণের পর দেশের সর্বক্ষেত্রে হওয়া বৈষম্য দূর করা হচ্ছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে নতুন করে লড়াই শুরু হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার সামনে আসতে শুরু করেছে বিসিবির অনিয়ম-দুর্নীতিও। বৃহস্পতিবার প্রথম বোর্ড মিটিং শেষে যা স্বীকার করেছেন বিসিবিপ্রধান ফারুক আহমেদ। বিসিবিতে কিছু দুর্নীতি হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন তিনি।
কোনো প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি হলে সেটির দায় পড়ে ওই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর পক্ষেও দায় এড়ানো কঠিন। কারণ তিনি এই পদে কাজ করছেন প্রায় এক যুগ। তাই তার বিরুদ্ধেও অভিযোগের আঙুল উঠেছে।
যা নিয়ে মিরপুরে নিজের প্রথম পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘একজন মানুষ দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত তিনি দোষী নন। অফিসে সিইও হিসেবে কাগজে সই করতে হবে, একটা নরমাল প্র্যাকটিস। এই অবকাঠামোগত জিনিসে ঝুঁকে পড়েছে (বিসিবি) এনএসসিকে বাইপাস করে, এটা খুব বেশি নেই। তবে কিছু দুর্নীতি তো হয়েছেই। এটা অস্বীকার করতে পারব না। আমাদের সিইও (প্রধান নির্বাহী) অনেক যোগ্য। তিনি ১২ বছর ধরে সিইও। অনেক অভিজ্ঞ। এখানেও যদি কিছু পাওয়া যায় (অনিয়ম), তদন্ত না করে বলার অনুরোধ করছি। তদন্ত করে যদি কিছু পাওয়া যায়, তাকেও (প্রধান নির্বাহীকে) ছাড় দেওয়া হবে না।’
বিসিবি সভাপতি আরও বলেন, ‘কিছু দুর্নীতি যে হয়েছে, এটা আমরা সবাই জানি। এটা অস্বীকার করতে পারব না। তাদের ওপর কোনো চাপ নেই। বোর্ড পুরোপুরি স্বাধীনভাবে কাজ করছে। কাজেই তাদের কাজের ধরনে আগের চেয়ে অনেক কিছুই ব্যতিক্রম হবে।’
দুর্নীতির বিষয়ে ফারুক জানালেন, অডিটের মাধ্যমে যতটুকু বের করে আনা যায়, তারা তা বের করবেন। আর বড় দুর্নীতির বিষয়গুলো তারা দুদকের কাছে ছেড়ে দেবেন। দুর্নীতির প্রশ্নে আপস নেই ফারুকের। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ২০২৩ বিশ্বকাপের ব্যর্থতা নিয়ে তিন সদস্যের তৈরি মূল্যায়ন রিপোর্ট সবার সামনে প্রকাশ হবে।