চ্যাম্পিয়নস লিগের হাইভোল্টেজ ম্যাচে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। এতে ২০২৩-এ ইউরোপের শীর্ষ ক্লাব প্রতিযোগিতার ফাইনালে সিটির কাছে ১-০ গোলে হারের ব্যথা অল্প হলেও কমাতে পেরেছে ইতালিয়ান ক্লাবটি। এদিকে, পুরো ম্যাচ জুড়ে আর্লিং হাল্যান্ড ছিলেন নিষ্প্রভ।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নিজেদের ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ইন্টার মিলানকে আতিথ্য জানায় ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচের শুরুতেই বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখা যায় ইন্টার মিলানকে। প্রতিপক্ষের ভয়ঙ্কর আক্রমণভাগকে অকার্যকর রেখে প্রতি-আক্রমণে ভীতি ছড়াতে থাকে সিমন ইনজাগির শিষ্যরা।
ম্যাচের ১৯তম মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম প্রচেষ্টা রাখতে পারে সিটি। প্রিমিয়ার লিগে চার ম্যাচে টানা দু’টি হ্যাটট্রিকসহ ৯ গোল করা হলান্ড লাফিয়ে হেড করেন, লাফিয়ে বল ধরতে অবশ্য তেমন বেগ পেতে হয়নি ইয়ান সমেরকে। একটু একটু করে গতি ফিরতে থাকে লড়াইয়ে। গোছানো ফুটবলে আক্রমণে জোর দেয় সিটি; কিন্তু ইন্টারের জমাট রক্ষণ তেমন একটা ভাঙতে পারছিল না তারা।
ম্যাচের প্রথমার্ধেই সিটির গোলমুখে ১০টি শট নেয় ইন্টার, যা ২০১৭ সালে মোনাকোর পর কোনো ইতিহাদে কোনো অতিথি দলের সর্বোচ্চ। সিটিও অবশ্য একের পর এক আক্রমণ করেনি তা নয়। তবে প্রথমার্ধের কোনো আক্রমণের ধারই ‘প্রায় গোল’ পর্যন্ত যায়নি।প্রথমার্ধে দু’টি সুযোগ অল্পের জন্য নষ্ট করেন হাল্যান্ড। তার হেড কিপার ইয়ান সমার লাইনে থেকে লাফিয়ে রুখে দেন। তারপর তার শক্তিশালী নিচু শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠা লড়াইয়ের ৫৩তম মিনিটে দারুণ একটি আক্রমণ শাণায় ইন্টার। সতীর্থের থ্রু পাস ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন মাত্তেও দারমেইন, শট নেয়ার মতো যথেষ্ট সুযোগ থাকা সত্তেও ব্যাকপাস দিয়ে পজেশন হারিয়ে ফেলেন তিনি। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে ফিল ফোডেন ভালো সুযোগও পেয়েছিলেন। কিন্তু বল গোলকিপারের সোজাসুজি মেরে দিয়ে দলকে হতাশ করেন।
ম্যাচের ৭৬ মিনিটে মেখিতেরিয়েন দারুণ জায়গায় বল পেয়ে সেটি উড়িয়ে মারেন ক্রসবারের ওপর দিয়ে। আর শেষ দিকে সিটিকে গোলের আক্ষেপে পোড়ান ইলকায় গুনদোয়ান। এক মৌসুম পর সিটিতে ফিরে আসা এই মিডফিল্ডার ইয়োস্কো গাভার্দিওলের কাছ থেকে বল পেয়েছিলেন ছোট বক্সে। ফাঁকায় থাকলেও জার্মান মিডফিল্ডার হেড নেন ইন্টার গোলকিপার ইয়ান সোমার বরাবর।
শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে ১ পয়েন্টের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় সিটিকে। পেপ গার্দিওলার অধীনে খেলা সিটি ঘরের মাঠে খেলা ৪২ ম্যাচের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার গোলহীন থাকল। প্রথমটি ছিল ২০২২ সালে স্পোর্টিংয়ের সঙ্গে। অপর দিকে আর্সেনাল, চেলসি ও লিভারপুলের পর চতুর্থ ইংলিশ ক্লাবের মাঠে এসে গোল হজম না করে ফিরছে ইন্টার মিলান।