সাম্প্রতিক সময়ে আর্জেন্টিনার রক্ষা প্রাচীরে পরিণত হয়েছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। গোলবারের নিচে প্রতিপক্ষের গোল ঠেকিয়ে আর্জেন্টিনাকে একের পর এক সাফল্য এনে দিচ্ছেন মার্তিনেজ। বাজপাখির মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে আর্জেন্টিনাকে রক্ষা করেন বলে দলটির ভক্তরা ভালোবেসে তাকে বাজপাখি বলে ডাকে। সেই তিনিই এবার নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন।
বিতর্কিত উদযাপন ও প্রতিপক্ষের ফুটবলারদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ানোর অভিযোগটা মার্তিনেজের পুরনো। এবার সেই কারণেই শাস্তি পেতে হলো তাকে। আপত্তিকর আচরণ ও ফিফার ফেয়ার প্লে নীতি ভাঙার কারণে মার্তিনেজকে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফিফার শৃঙ্খলাবিষয়ক কমিটি।
শাস্তির ফলে আর্জেন্টিনার হয়ে আগামী ১০ অক্টোবর ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে এবং ১৫ অক্টোবর বলিভিয়ার বিপক্ষে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে খেলতে পারবেন না মার্তিনেজ। যা বড় বিপদে ফেলে দিয়েছে আর্জেন্টিনাকে। কেননা, চোটের কারণে মেসিও সাম্প্রতিক সময়ে আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে নামতে পারছেন না।
মার্তিনেজকে শাস্তির কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, আলাদা দুটি ঘটনার কারণে শাস্তির মুখে পড়েছেন মার্তিনেজ। বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন গোলরক্ষকের প্রথম শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনাটি ঘটেছিল ৫ সেপ্টেম্বর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে চিলির বিপক্ষে জেতা ম্যাচে।
সেদিন কোপা আমেরিকার রেপ্লিকা ট্রফি নিয়ে অশালীনভাবে উদযাপনে অঙ্গভঙ্গি করেন মার্তিনেজ। যেখানে আচরণবিধি ভাঙার প্রমাণ পেয়েছে ফিফা, যার ফলাফলস্বরূপ মিলেছে এই নিষেধাজ্ঞা। এছাড়া ১০ সেপ্টেম্বর কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে হারার পর ক্যামেরা অপারেটরের সরঞ্জামে ধাক্কা দেন মার্তিনেজ। পরবর্তী সময়ে জনি জ্যাকসন নামের সেই অপারেটর কলম্বিয়ান সংবাদমাধ্যমে জানান, তিনি মার্তিনেজের হাতে ‘লাঞ্ছিত’ হয়েছেন এবং এ ঘটনায় তিনি ‘খুবই ক্ষুব্ধ’। যা আমলে নিয়েছে ফিফা।
এদিকে মার্তিনেজের নিষেধাজ্ঞার ঘটনায় ভিন্নমত প্রকাশ করেছে আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশন (এএফএ)। এক বিবৃতিতে এএফএ জানিয়েছে, ‘এটি উল্লেখ করা উচিত যে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ফিফার শৃঙ্খলা কমিটির নেওয়া সিদ্ধান্তের সঙ্গে পুরোপুরি ভিন্নমত প্রকাশ করে।’
অবশ্য মার্তিনেজকে পাওয়া না গেলেও আশার কথা হলো, ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পয়েন্ট তালিকায় বর্তমানে সবার ওপরে আছে আর্জেন্টিনা। ৮ ম্যাচে ৬ জয় ও ২ ড্রয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে তারা। আর বাছাইপর্ব থেকে ৬টি দল সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট পাবে।