চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ফরাসি ক্লাব লিলের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ভিনিসিয়াস কিংবা এন্দ্রিক, পুরো ম্যাচে ছিলেন নিষ্প্রভ। চোট কাটিয়ে আগেভাগে ফিরলেও আলো ছড়াতে পারেননি কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফলে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৬ ম্যাচ পর পরাজয়ের তেতো স্বাদ পেল স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
এদিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে কম বয়সে রিয়ালের শুরুর একাদশের খেলোয়াড় হওয়ার কীর্তি গড়েন এন্দ্রিক (১৮ বছর ৭৩ দিন)। তিনি ভেঙে দেন স্প্যানিশ ক্লাবটির কিংবদন্তি ফরোয়ার্ড রাউল গনসালেসের রেকর্ড। ১৯৯৫ সালের সেপ্টেম্বরে ডাচ ক্লাব আয়াক্সের বিপক্ষে ১৮ বছর ৭৮ দিন বয়সে নেমে আগের রেকর্ড গড়েছিলেন এই স্প্যানিয়ার্ড।
গত সপ্তাহে পেশির ইনজুরিতে পড়ায় কার্লো আনচেলত্তি শুরুর একাদশে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে রাখেননি। মাদ্রিদের ভিনিসিয়াস জুনিয়র ষষ্ঠ মিনিটে নিচু শটে প্রথম সুযোগ পেয়েছিলেন। গতি ধরে রেখে অতিথিরা খেলতে থাকে। দ্বিতীয় সুযোগ মেলে কিছুক্ষণ পর যখন এন্দ্রিকের খুব কাছ থেকে নেয়া শট লুকাস শেভালিয়ের ব্লক করেন।
২৬ মিনিটে লিল প্রথম গোলের বেশ কাছে ছিল। আন্দ্রি লুনিন চমৎকার ডাবল সেভে রিয়ালকে বাঁচান। প্রথমবার ডেভিডের হেড ফিরিয়ে দেয়ার পর কানাডিয়ানের পরবর্তী শট রুখে দেন রিয়াল কিপার।
বিরতির ঠিক আগে আর জাল অক্ষত রাখতে পারেনি রিয়াল। বক্সে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। কানাডার ফরোয়ার্ড ডেভিডের নিখুঁত স্পট কিকে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় লিল।
আক্রমণে ধার বাড়াতে ৬১তম মিনিটে ডিফেন্ডার এদের মিলিতাওয়ের জায়গায় চোট কাটিয়ে ফেরা এমবাপ্পে এবং এন্দ্রিককে তুলে লুকা মদ্রিচকে নামান রিয়াল কোচ। কিন্তু কেউই পারেননি নিজেকে মেলে ধরতে। ৭০তম মিনিটের পর থেকে এক গোলের লিড ধরে রাখার উদ্দেশ্যে কিছুটা রক্ষণাত্মক ফুটবলে মনোযোগী হয় লিল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে থাকে রিয়াল।
৭৪তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ভিনিসিউসের বাড়ানো ক্রসে মাথা লাগিয়েও লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন দানি কারভাহাল। ৮৫তম মিনিটে ভিনি-বেলিংহ্যামের আরও একটি প্রচেষ্টা লিলের রক্ষণে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। পরের দুই মিনিটে দুটি নিশ্চিত গোল ফিরিয়ে দিয়ে রিয়ালকে হতাশ করেন লিল গোলরক্ষক শেভালিয়ে। ম্যাচজুড়ে ওই দুটি শটই রিয়ালের গোলের জন্য সবচেয়ে বড় সম্ভাবনা ছিল। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গত মৌসুম থেকে অপরাজিত থাকার পর চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় রাউন্ডে এসে অবশেষে হারল কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। অন্যদিকে, টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সফলতম দলটির বিপক্ষে প্রথমবার খেলতে নেমেই জিতল ব্রুনো জেনেসিওর শিষ্যরা।