ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৬৩ রানের একটা ইনিংস খেলেছেন তাওহিদ হৃদয়। এরপরও রাজ্যের হতাশা এই মিডল অর্ডার ব্যাটারের কণ্ঠে। তার মতোই হতাশ পুরো দল। ভারতের বিপক্ষে যেই ভাবে হেরেছে বাংলাদেশ দল; তাতে হতাশ না হয়ে উপায় আছে?
আগেই সিরিজ হারা বাংলাদেশ শেষ ম্যাচে অন্তত একটা লড়াই করবে বিদায়ী মাহমুদউল্লাহর জন্য; এমনটাই ছিল অনুমেয়। কিন্তু কোথায় কি। হতশ্রী বোলিংয়ে লজ্জার রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। ৬ উইকেটে ভারতের সংগ্রহ রেকর্ড ২৯৭। এমন ম্যাচে হার এক রকম নিশ্চিতই। হয়েছেও তাই।
তবে আশা করা হচ্ছিল অন্তত লড়াইটুকু করবে ব্যাটাররা। আগের ম্যাচের হতশ্রী পারফরম্যান্স ভুলে শেষ ম্যাচে ভালো ব্যাট করবে নাজমুল শান্তর দল। হয়নি সেটিও। বাংলাদেশের পুঁজি ৭ উইকেটে ১৬৪। এমন দিনে ক্যারিয়ারসেরা ৬৩ রানের ইনিংস খেলেও তাই হতাশায় ঝড়ে পড়েছে হৃদয়ের কণ্ঠে।
ম্যাচ শেষে হৃদয় বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, খুবই ভালো উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য। আমরা ভালো বোলিং করিনি। আমরা কিছু জায়গায় উন্নতি করতে পারি। আশা করি আমরা সেটা করতে পারব। আমরা তো বল ভালো করিনি। শুধু বল না, ব্যাটিংও ভালো করিনি পুরো সিরিজে। আমাদের কিছু জায়গায় ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করতে হবে। ওরা অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে। আমরা আরও ভালো করতে পারতাম।’
টপ অর্ডারের ব্যর্থতা নিয়ে হৃদয় বলেন, ‘দেখুন, প্রতিটা দলেই টপ অর্ডার থেকে রান হয়। সেখানে রান এলে ইনিংস বড় হয় স্বাভাবিকভাবেই। টপ ফোর থেকে যদি বড় রান আসে, তাহলে রান ১৮০ হয়। আমাদের সবকিছু মিলিয়ে অনেক জায়গা আছে উন্নতির। এই সিরিজে আমাদের জন্য অনেক কিছু শেখার আছে। আশা করি সেটা করতে পারব।’
আগামীতে ভালো করতে ভালো উইকেটের আবদারও জানিয়ে গেলেন হৃদয়, ‘সব জায়গাতেই কমতি ছিল। এক দিন ব্যাটিং ভালো হয়েছে তো বোলিং ভালো হয়নি, বোলিং ভালো হলে ব্যাটিং। আমরা আসলে এই রকম উইকেটে খেলি না। আমি অজুহাত দিচ্ছি না। তবে এ ধরনের উইকেটে আমরা যত খেলব, তত ভালো খেলব।’