বাংলাদেশের ক্রিকেটকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করে তুলেছেন সাকিব, তামিম, মাশরাফী, মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকরা। তাই তাদের পরবর্তী সময়ে দেশের ক্রিকেট কি আগের মতো থাকবে? এমন প্রশ্ন ঘুরেফিরেই আসে। তবে সাকিব-তামিমদের চেয়ে এখনকার ক্রিকেটাররা অনেক স্বাবলম্বী বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় দলের নতুন সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
গত ৫ নভেম্বর শান্ত-লিটনদের সহকারী কোচ হিসেবে দেশসেরা কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। এরপর শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিসিবির ফেসবুক পেইজে সালাউদ্দিনের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়।
সেখানে সাকিব-তামিমদের নিয়ে সালাউদ্দিন বলেন, আমরা যারা বলি সাকিব, তামিম, মুশফিকেরা একটা পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে গেছে; ওটা যদি না ভাঙতে পারি, তাহলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বাংলাদেশের ক্রিকেট এগোয়নি। আমাদের কাজ পরবর্তী প্রজন্ম যেন তাদের চেয়ে ভালো খেলোয়াড় হতে পারে, বড় হতে পারে। সেটা অসম্ভবও নয়। এখন খেলোয়াড়েরা মানসিক, শারীরিক ও আর্থিক দিক থেকে অনেক স্বাবলম্বী। যেটা হয়তো আগে ছিল না। এখন ভালো করার সুযোগ বেশি।
দীর্ঘদিন ধরেই জাতীয় দলে দেশি কোচদের দেখতে চাওয়ার ইচ্ছের কথা শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সালাউদ্দিন। এই সুযোগকে ভবিষ্যতে দেশি কোচদের জন্যও পথ করে দিতে চান সালাউদ্দিন।
তিনি বলেন, অনেক দিন ধরেই শুনছি বোর্ড দেশি কোচদের একটা প্ল্যাটফর্ম করে দেবে। সেই জায়গায় আমি যদি পথটা দেখাতে পারি, সেটা যত দিনের জন্যই হোক, দেশি কোচরাও হয়তো ভালো করবে। পরবর্তী সময়ে যে সব দেশি কোচ আসবে বোর্ডের বিশ্বাস বাড়বে, মানুষের বিশ্বাস বাড়বে, জনগণের বিশ্বাস বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, সেই সঙ্গে কোচের নিজেরও বিশ্বাস বাড়বে যে আমরাও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো করতে পারি। আমার মনে হয় এই বিশ্বাসটা কারও না কারও নেওয়া উচিত ছিল। সেই বিশ্বাসটা যদি আমি রাখতে পারি, পরের কোচদের জন্য বড় পথ খোলা হয়ে যাবে। একজন কোচ হিসেবে সমাজে পথ দেখানোর একটা বড় দায়িত্ব আমার ওপর পড়ে গেছে। সেটাকে আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি।
সালাউদ্দিনকে জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ২০২৫ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত। দুই দশক ধরে কোচিং করানো সালাউদ্দিন এর আগে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সহকারী কোচ ও ফিল্ডিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন ২০০৬ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত।
এ ছাড়াও ২০১০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বিসিবি জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির স্পেশালিস্ট কোচ হিসেবে কাজ করেছেন সালাউদ্দিন। সিঙ্গাপুরের প্রধান কোচ হিসেবে দলকে আইসিসি বিশ্বকাপ লিগের চতুর্থ ডিভিশনে উন্নীত করেন। দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে আরও একবার দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।