মোঃ হারুন অর রশিদ, ডেমরা প্রতিনিধি: ডেমরায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মো. মনির হোসেন (৪০) নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে তার কাছ থেকে ডাকাতদল ২০০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ২ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। রোববার রাত ১১ টার দিকে কোনাপাড়া আল—আমিন রোডের এশিয়াটিক মার্কেট সংলগ্নে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ওই ব্যবসায়ীর চিৎকারে পথচারীরা এগিয়ে আসলে ডাকাতদল ককটেল বিস্ফোরণ করে আতঙ্ক তৈরী করার পাশাপাশি পথচারীদের গুলি ও ছুরিকাঘাত করে। এ ঘটনায় স্বর্ণব্যবসায়ী মনিরসহ ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরলেও মনির এখনো চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় লোকজন জড়ো হতে থাকলে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতদলের সদস্য যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় বসবাসরত কুড়িগ্রামের সদর থানার পশ্চিম কল্যাণপুর ধুলউড়া গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে আল—আমিন’কে (২৭) আটক করে গণধোলাই দেয়। বর্তমানে সেও গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন ঢামেকে। এ ঘটনায় ভুক্তভুগীর শ্যালক তানভীর সোমবার ডেমরা থানায় আটক আল—আমিন সহ অজ্ঞাত ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন। লুন্ঠিত স্বর্ণের অনুমান মূল্য ২ কোটির টাকার ওপরে।
স্বর্ণ ব্যবসায়ী মনিরের খালাত ভাই মো. হুমায়ুন কবিরসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় মনির গণি সুপার মার্কেটে ফারহিন জুয়েলার্স নামে তার দোকান বন্ধ করে পাশের এশিয়াটিক মার্কেটের ভবনে অবস্থিত বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় অস্ত্র সস্ত্র ও বোমাসহ ডাকাতদল মনিরের গতিরোধ করে স্বর্ণ ছিনিয়ে নিতে চাইলে সে চিৎকার শুরু করে। এ ঘটনায় পথচারীরা এগিয়ে আসলে ডাকাতদল প্রথমে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মনিরের পায়ে গুলি করে তার সাথে থাকা স্বর্ণের ব্যাগ ও ২ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ডাকাতরা পথচারীদের লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে মারে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেমরা থানার পরিদর্শক অপারেশন ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুব্রত কুমার পোদ্দার বলেন, ডাকাত ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা বিভাগ ও র্যাব অভিযান চালাচ্ছে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ডাকাতেরা ছিনিয়ে নেওয়া সোনা ও ২ লক্ষ টাকা নিয়ে দুটি মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। এ সময় পথচারীরা মনির ও আহত মো. শিহাব, মো. আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ বাপ্পি ও মো. কাইয়ুমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। বাকিরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।