হুমায়ুন কবীর রিন্টু, নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের সংঘর্ষে অন্তত ২০০ জন আহত হয়েছেন ও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অনেকে। মারাত্মক আহত নড়াইল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাহুল ঘোষ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা প্রিন্সকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষে আহত সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার কারণে হাসপাতালে না গিয়ে গোপনে বাড়িতে ও বাইরে বিভিন্ন ক্লিনিকে গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রোববার (৪ আগষ্ট) সকাল ১১টার দিকে নড়াইল সদরের আউড়িয়া ইউনিয়নের মালিবাগ হতে আন্দোলনকারী সাধারণ ছাত্রদের একটি বিশাল মিছিল নড়াইল শহরের দিকে যেতে থাকে। সাধারণ ছাত্রদের সাথে মাঠে নামে অভিভাবক ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। ওই মিছিলে জেলা বিএনপি‘র সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুব মোর্শেদ জাপল ও আলী হাসান, জেলা বিএনপি‘র সহ-সভাপতি জুলফিকার আলী মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক শারিয়ার রিজভি জর্জ, যুবদল সভাপতি মশিয়ার রহমান সহ অনেকে সাধারণ ছাত্রদের মিছিলে যোগ দেন ও নেতৃত্ব দেন।
অপরদিকে একই সময়ে নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় হতে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে সাধারণ ছাত্রদের মিছিল প্রতিহত করতে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন রাসেল সেতু অভিমুখে যেতে থাকে।
দু‘দিক থেকে আসা দু‘টি দলের মিছিল রাসেল সেতুতে মুখোমুখি হলে দু‘দলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ ঠেকাতে পুলিশ হিমশিম খায়। পুলিশের বেরিগেট ভেঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীরা শহরে প্রবেশ করার জন্য রাসেল সেতুতে উঠা মাত্রই সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ ঠেকাতে পুলিশ হিমশিম খায়। এমনকি রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। উভয় পক্ষ উভয়ের উপর লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে। এ সময় গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশের রাবার বুলেট ও দু‘দলের ছোড়া ইট, লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আঘাতে অন্তত ২০০ জন আহত হন।
জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব বের হওয়া মিছিলে দেখা যায়নি অনেক সুবিধাভোগী নেতাদের। এ নিয়ে কোন কোন নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জেলা আওয়ামী লীগের মিছিলে নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো: হাসানুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলমগির হোসেন আলম, আওয়ামী লীগ নেতা ও বীরমুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু, মলয় কুন্ডু গোলাম মোর্তজা স্বপন, মাইজপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, হবখালি ইউপি চেয়ারম্যান টিপু সুলতান, কলাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মাহামুদুল হাসান কায়েস, জেলা যুবলীগ সভাপতি গাউছুল আজম মাসুম, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাইম ভুইয়া, সাধারণ সম্পাদক স্বপ্নিল সিকদার নীল প্রমুখ।