বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া, পুঁইছড়ি, শেখেরখীল, চাম্বল, শীলকূপ, কাথরিয়া, সরল, কালীপুর, বৈলছড়ি, খানখানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের অপসারণ ও দুর্নীতি মুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। একই সাথে বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র, পৌরসভা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এস এম তোফাইল বিন হোছাইন এর অপসারণ চেয়ে সকাল থেকে এলাকাবাসীর অবস্থান ও বিক্ষোভ সমাবেশ দেখা গেছে।
রোববার (১৮ আগস্ট) সকাল থেকেই বাঁশখালী পৌরসভা সহ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এলাকাবাসী বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও করে, অবস্থান কর্মসূচী পালন করে। দ্রুত অপসারণ চেয়ে সংল্লীষ্ট ইউনিয়নে প্রশাসক নিয়োগের দাবীতে বিক্ষুদ্ধজনতা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এ সময় উপস্থিত এলাকাবাসী জানান, 'শেখ হাসিনার পাঁতানো নির্বাচনে রাতের ভোটে অবৈধভাবে এসব চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দলীয় প্রভাব দেখিয়ে ভিন্নদলের মত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে দমন পীড়ন চালায়। তারা নিয়মিত অফিস করতো না। সরকারি বরাদ্দের চাল আত্মসাৎ সহ দলীয় পরিচিতদের মাঝে সরকারী সুবিধা প্রদান করতো। বিচারের নামে টাকার বাণিজ্য, সার্টিফিকেট বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছে এসব চেয়ারম্যান। এরা আওয়ামী লীগের পদপদবী ব্যবহার করেও ক্যাডারভিত্তিক দলীয় প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন দলের মানুষ ও নীরিহ জনগণকে মামলা হামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন বলেও তারা অভিযোগ তুলেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে অসংখ্য নিরীহ মানুষকে এলাকা ছাড়া করেছে। তাই এদের কে আমরা চেয়ারম্যান হিসেবে আর দেখতে চাই না। আমরা জনবিচ্ছিন্ন এসব চেয়ারম্যানদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম। দ্রুতই এদের অপসারণ করে তৎস্থানে প্রশাসক নিয়োগ করারও দাবী জানান বিক্ষুদ্ধ জনসাধারণ।
এ বিষয়ে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন আক্তার জানান, 'আজকে কয়েকজন চেয়ারম্যান অফিসে এসেছেন। বাঁশখালীর সবকটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের অপসারনের দাবীর প্রেক্ষিতে ছাত্র-জনতার অবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে অবগত হয়েছি। এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছেন পৌর মেয়র সহ আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা। এতে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী।