চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: সারাদেশে মন্দির ভাংচুর, হিন্দুদের উপর হামলা, লুটপাট, হামলাকারীদের গ্রেফতার ও সুষ্ঠ বিচারসহ ৮ দফা দাবি আদায়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সর্বস্তরের হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্যোগে আজ সোমবার বেলা ১১ টার সময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ শ্রী প্রণব কুমার পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রী পলাশ দাস। অন্যান্যের মধ্যে উত্তরবঙ্গ বৈষ্ণব সংঘের প্রতিষ্ঠাতা আচার্য শ্রীল শ্যামকিশোর দাস গোস্বামী, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস ডাঃ শ্রী তড়িৎ সাহা, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ডাবলু কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক ধনঞ্জয় চ্যাটার্জী, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক নিবাস কর্মকার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক শ্রী সমিত চ্যাটার্জী, বাংলাদেশ ব্রাক্ষ্রন সংসদের জেলা সভাপতি শ্রী বিধান ভট্টাচার্য, নাচোল পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী সুধেন বর্মন, সাধারণ সম্পাদক আশিস চক্রবর্তী, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জেলা কমিটির সদস্য হিঙ্গু মূর্ম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নাচোল উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রঞ্জনা বর্মণ, আদিবাসী নেত্রী বিচিত্রা তিরকী, আদিবাসী একাডেমির সভাপতি শ্রী বিধান কুমার সিং, শিবগঞ্জ পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কুনাল মুর্খাজী, সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত দাস, গোমস্তাপুর পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সোচিন বর্মণ, সাধারণ সম্পাদক সুমন সাহা প্রমুখ।
সভা চলাকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপি’র গোলাম জাকারিয়া, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক ও চেম্বার অব কর্মাস এর সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ উপস্থিত হয়ে হিন্দুদের এই সম্প্রীতির সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে একাত্বতা ঘোষণা করেন। তারা বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে এর আগেও ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকবো, আর কেউ যদি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে না পারে, সেজন্য সকল নেতৃবৃন্দ এবং দলগুলো সজাগ এবং সতর্ক থাকবেন।
বক্তারা বলেন, সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত্তর স্বার্থে দেশে আর কোন নুতন করে কোন সহিংস ঘটনা না ঘটে সেই দাবিসহ ৮ দফা মেনে নেয়ার আহবান জানান।সভা শেষে হিন্দু সম্প্রদায়ের নের্তৃবন্দ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর ৮ দফা দাবিসহ একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।