এস এম আকাশ, চট্টগ্রাম ব্যুরো: জুলাই মাসে সারাদেশের ন্যায় পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলায়ও ছড়িয়ে পড়েছিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ছাত্র আন্দোলন কে ঘিরে কোন রকম নাশকতা ও সংঘর্ষ না ঘটাতে সদা তৎপর ছিলেন বান্দরবান জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী (পিপিএম)। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে ছুটে গিয়েছেন যখন যেখানে প্রয়োজন।
বান্দরবান ছাত্র সমাজের পেইজে ওই পুলিশ কর্মকর্তা কে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি পোষ্ট করা হয়। পোষ্টটিতে বলা হয় যে, বান্দরবান ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানায় হোসাইন মোঃ রায়হান কাজেমী স্যারকে পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), বান্দরবান পার্বত্য জেলা। গত ১৬ ই জুলাই ওনার বিশেষ অবদানের এবং সাহসঈকতার কারণে ছাত্র সমাজ এবং ছাত্রলীগের মুখোমুখি অবস্থানের পরও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের ধাওয়ার হাত থেকে ছাত্রদের রক্ষা এবং কোনোরূপ অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ছাত্ররা মানববন্ধন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করেন।
পোষ্টটির সূত্র ধরে বান্দরবান জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আসিফ ইকবালের সাথে কথা বলে জানা যায়, জুলাইয়ে ১৬ তারিখ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক পুলিশ বক্স, মুক্ত মঞ্চ ও প্রেসক্লাব এলাকায় প্লেকার্ড নিয়ে মানববন্ধন করলে বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পুলু মার্মা, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মানিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জোনায়েদ হোসেন ও বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি টিপু দাশের নেতৃত্বে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা তাদের উপর হামলা চালায়। সে সময় ব্যারিকেড হয়ে দাঁড়ায় পুলিশ কর্মকর্তা রায়হান কাজেমী, তাঁর কঠোর ভূমিকায় পিছিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
৪ আগষ্ট বড়ুয়ার টেক থেকে নির্বাচন অফিস অভিমুখে মিছিল নিয়ে রওনা হলে ছাত্রলীগের একই ব্যক্তিরা প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করতে চাইলে ওই পুলিশ কর্মকর্তার কঠোর ভূমিকায় তারা ছাত্রদের রক্ত ঝড়াতে ব্যার্থ হয়। ওই পুলিশ কর্মকর্তা সঠিক সময়ে সঠিক দায়িত্ব পালন না করলে কত ছাত্র শহীদ হত কল্পনাও করা যায়না বলেও তিনি জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, জনগণের জান-মাল রক্ষা করা আমার পেশাগত দায়িত্ব। জীবনের সর্বোচ্চ ত্যাগ করে হলেও পেশাগত দায়িত্ব পালনে কখনো পিছু হটবেন না বলেও তিনি জানান।