বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি: দীর্ঘ ১৭ বছর পর নাটোরের বড়াইগ্রামে প্রকাশ্যে উম্মুক্ত স্থানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বনপাড়া পৌর শহরের শহীদ সানাউল্লাহ নূর বাবু চত্বরে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে র্যালী, আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠিত হয়। বিগত আওয়ামীলীগ শাসনামলে সরকারের স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক আচরণের কারণে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী প্রকাশ্যে করা সম্ভব হয়নি বলে জানান দলের নেতা-কর্মীরা।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মিজানুর রহমান মিজান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহমেদ রনি, উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক এ্যাড. আব্দুর কাদের মিয়া, বনপাড়া পৌর বিএনপি’র আহ্বায়ক অধ্যাপক এম.এ লুৎফর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক এবিএম ইকবাল হোসেন রাজু ও অন্যদের মধ্যে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মাহামুদল হাসান মেমন, সদস্য সৈকত হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আমাদের সকলের কাঙ্খিত এই স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে এবং দেশের মানুষের যার যে অধিকার তা বুঝিয়ে দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি’তে বর্তমানে যারা নেতা-কর্মী আছে তারাই থাকবে। নতুন কোন সদস্য অন্তর্ভূক্ত করা যাবে না। যদি কোন নেতা নতুন কাউকে অন্তর্ভূক্ত করার চেষ্টা করে তাহলে সর্বপ্রথম তাকেই সবার আগে বহিস্কার করা হবে। এছাড়া আমাদের দলের কোন নেতা-কর্মী যদি দখলদারী, চাঁদাবাজী বা অন্য কোন অপকর্মের সাথে জড়িত থাকে তাহলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে দল থেকে বহিস্কার করা হবে।
আলোচনা সভার মঞ্চে নেতৃবৃন্দরা তাদের বক্তব্যে ২০১০ সালের ৮ অক্টোবর তৎকালীন বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা সানাউল্লাহ নূর বাবুকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচী পালনের সময় পিটিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামী বনপাড়া পৌরসভার সদ্য অপসারণকৃত মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি কেএম জাকির হোসেনকে বনপাড়াতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।