কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি: ঢাকার কেরানীগঞ্জের গদাবাগে জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকার সময় কালিন্দী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও কথিত সোনার বাংলা গ্রীন সিটি হাউজিংয়ের মালিক মো: আনোয়ার হোসেন জোরপূর্বক তাদের জায়গা দখল করেছেন বলে জানান ভুক্তভোগী দুই ভাই মো: নাসির উদ্দিন ও মো: সালাউদ্দিন সোহেল। আজ সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে কোনাখোলা গদাবাগ এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এসময় ভুক্তভোগী সালাউদ্দিন সোহেল বলেন, গদারবাগ এলাকায় নামমাত্র কিছু জমি কিনে সোনার বাংলা গ্রীন সিটি নামে হাউজিং কোম্পানি খোলেন আনোয়ার হোসেন। সাবেক এমপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় আনোয়ার হোসেন ভূমিদস্যু হয়ে উঠেন। তার জমির আশপাশে থাকা কয়েকশ বিঘা জমি সে জোরপূর্বক দখলে নেয়ার চেষ্টা করছিলেন। অনেক জমি দখল করেন বা নামমাত্র মুল্যে দিয়ে। অনুমতি না নিয়ে রাতের আধারে অন্যের জমি ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলে ভরাট করে ফেলতেন। ভরাট করা জমিতে তার কথিত হাউজিংয়ের নামে সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়া হতো। কেউ প্রতিবাদ করলে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে উল্টো তাকে নানাভাবে হয়রানী করতো আনোয়ার ও তার সিন্ডিকেট।
ভুক্তভোগীরা আরও বলেন, ব্রাক্ষনকিত্তা মৌজায় বিভিন্ন দাগে আমাদের পারিবারিক ৬৬৯ শতাংশ জমি রয়েছে। সেই জমি গ্রাস করতে আনোয়ার সিন্ডিকেট নানাভাবে আমাদের হয়রানী করছে। প্রথমে জমি বিক্রির প্রস্তাব দেয়। আমরা অস্বীকৃতি জানালে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলে জমি রাতারাতি ভরাট করে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়। প্লট আকারে বিক্রির জন্য জমি তৈরী করে ফেলে। এক পর্যায়ে আমাদের জমির উপর দিয়ে সে জোরপূর্বক রাস্তা বানিয়ে নেয়। আমাদের জমিতে যাওয়ার রাস্তায় সে গেট নির্মাণ করে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এভাবে আনোয়ার, তার ৩ ভাই ও সহযোগী গুন্ডারা আমাদের হয়রানী করছে। নানা হুমকি দিচ্ছে।
সরকার পতনের পর আনোয়ার ও তার ৩ ভাই গা ঢাকা দিয়েছে। কিন্তু তাদের নিয়োগ করা স্থানীয় কিছু দোসর এখনও ঝামেলা করছে। এ বিষয়ে আমরা ১ এপ্রিল ২০২৪ আদালতে একটি পিটিশন মামলা করেছি।