ঘরোয়া উপায়েও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তাই আপনি ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি মসলার ওপর। কোলেস্টেরলের সমস্যা এখন প্রতিটি ঘরে ঘরে। ৪০ পেরোতে না পেরোতেই কোলেস্টেরল হানা দিচ্ছে জীবনে। হুমকির মুখে পড়ছে শরীর। খাওয়াদাওয়া থেকে জীবনযাপন সবক্ষেত্রেই একটি নিয়মের হাতছানি। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। সেই সঙ্গে ঘরোয়া উপায়েও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। তাই ভরসা রাখুন দারুচিনি, গোলমরিচ আর জোয়ানের ওপর।
দারুচিনি
রান্নার স্বাদ বাড়ানো এবং সর্দি-কাশি কমানো ছাড়াও দারুচিনি কোলেস্টেরলের মতো ক্রনিক সমস্যার সঙ্গে লড়তেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে এই ঘরোয়া টোটকা কাজে আসতে পারে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। দারুচিনি দিয়ে তৈরি চা খেতে পারেন। সুস্থ থাকবেন।
গোলমরিচ
শীতকালীন ঠান্ডা লাগা কিংবা ওজন কমানো— সবক্ষেত্রেইই গোলমরিচের ভূমিকা অনবদ্য। তবে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এই মসলার জুড়ি মেলা ভার। কোলেস্টেরলের মাত্রা বিপৎসীমার বাইরে রাখার ক্ষমতা রয়েছে গোলমরিচের। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদানসমৃদ্ধ এই মসলা কোলেস্টেরল অন্যতম দাওয়াই।
জোয়ান
ভরপেট খাওয়ার পর তাড়াতাড়ি হজম করার জন্য অনেকেই মুখে দেন জোয়ান। হজমশক্তি উন্নত করতে জোয়ান নিঃসন্দেহে উপকারী। অনেকেই হয়তো জানেন না, জোয়ান শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। সেই সঙ্গে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে দেয় মা। ফ্যাটি অ্যাসিড ও ডায়েটারি ফাইবারে ভরপুর জোয়ান ঘরোয়া উপায়ে কোলেস্টেরল কমাতে সিদ্ধহস্ত।