ঢাকা
২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সকাল ৮:৫১
logo
প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪
প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪

চট্টগ্রাম বন্দরের হাজার কোটি টাকা আটকা এস আলমের ৪ ব্যাংকে

এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা চারটি ব্যাংকে জমা ৯২৮ কোটি টাকা উদ্ধার নিয়ে বিপাকে পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকটের কারণে এসব টাকা উদ্ধারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শরণাপন্ন হতে যাচ্ছে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর।

সূত্র জানায়, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের চারটি শাখায় ২১২ কোটি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চার শাখায় ১৯০ কোটি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের দুটি শাখায় ১১৫ কোটি এবং ইউনিয়ন ব্যাংকের ১১টি শাখায় ৪১১ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিট রেখেছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিলে ব্যাংকগুলোর খেলাপিঋণ, তারল্যসংকট, পরিচালনা পর্ষদের নানা অনিয়ম প্রকাশ পেতে থাকে।

এতে উদ্বেগ বাড়ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের। স্থায়ী আমানত বা এফডিআরের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের টাকা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে রাখা হলেও ধারণা করা হচ্ছে প্রভাবশালী মহল প্রভাব খাটিয়ে দুর্বল ও সমস্যাযুক্ত এসব ব্যাংকে চট্টগ্রাম বন্দরের আমানত নিয়ে গেছে। এখন লাভ তো দূরের কথা মূল টাকাই অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। বিনিয়োগের বিপরীতে সুদ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে একাধিক ব্যাংক। রেড জোনে থাকা কয়েকটি ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নিতে বারবার পদক্ষেপ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এ অবস্থায় বন্দর ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ৯টি ব্যাংকের পে-অর্ডার, চেক ও ব্যাংক গ্যারান্টি নেবে না জানিয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুস শাকুরের সই করা একটি চিঠিতে বন্দরের সব বিভাগীয় প্রধানকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

ব্যাংকগুলো হচ্ছে- গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক পিএলসি, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, পদ্মা ব্যাংক পিএলসি, ন্যাশনাল ব্যাংক পিএলসি এবং আইসিবি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি।

চিঠিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের সব বিভাগের কার্যক্রমে ব্যাংকগুলোর ইস্যু করা সব ধরনের পে-অর্ডার, চেক, ব্যাংক গ্যারান্টি গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক এস আলমের চারটি ব্যাংকে রাখা আমানত প্রসঙ্গে বলেন, বন্দরের তহবিল থেকে অর্ধেক সরকারি ও বাকি অর্ধেক বেসরকারি ব্যাংকে রাখা হয়। প্রায় সব ব্যাংকেই বন্দরের আমানত রয়েছে। সম্প্রতি এস আলম গ্রুপের সংশ্লিষ্ট চারটি ব্যাংকে রাখা প্রায় ৯২৭ কোটি টাকা আমানত ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শরণাপন্ন হবে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

সর্বশেষ
logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2024 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram