চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতে পল্লীবিদ্যুতের পোল (খাম্বা) পড়ে যাওয়ায় ১২ দিন ধরে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন থাকায় চরাঞ্চলের দেড় হাজার পরিবার চরম দূর্ভোগের মধ্যে পড়েছে।
বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন গ্রামগুলো হচ্ছে- শিবগঞ্জে উপজেলার বাবুপুর, সাত্তার মোড়, নিশিপাড়া, কদমতলা, সেতারাপাড়া, শেয়ালপাড়া, চরলক্ষ্মীপুরসহ ১০টি গ্রাম।
পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, ১২ দিন আগে প্রমত্তা পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতে সাত্তার মোড়ের একটি খাম্বা নদীতে পড়ে যায়। এবং তখর থেকে আজ অবধি পর্যন্ত এই ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানোর পরও মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এতে তীব্র গরমে চরাঞ্চলের মানুষজন খুব কষ্টের মধ্যে জীবনযাপন করছে।
নিশিপাড়া চরের কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, ১২ দিন ধরে অন্ধকারে বসবাস করছি। জমিতে পানি দিতেও সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যুৎ ছাড়া আমরা খুব কষ্টে জীবনযাপন করছি।
চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের মোঃ তৌহিদুর রহমান বলেন, পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতে দু’টি খাম্বা পড়ে যাওয়ায় তাদের বাড়িগুলো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
১২ দিন ধরে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন কদমতলা গ্রামের মোঃ আবুল হোসেন জানান, ১২ দিন ধরেই অন্ধকারে। কানসাট পল্লীবিদ্যুতের কর্মকর্তাদের জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না তারা। আবার যখন খাম্বা স্থাপন করতে এসেছিল তখন তাদের অন্যদিক দিয়ে দিতে বলেছিলাম। সেখান দিয়ে বিদ্যুতের খাম্বাগুলো দিলে ১০ বছরেও কিছু হতো না। তারা বলেন, যতবার খাম্বা পদ্মা নদীতের স্রোতে বিলীন হবে, ততবার নতুন করে খাম্বা বরাদ্দ পাবে। কিন্তু বন্ধ থাকার কারণে আমরা যে কষ্টে থাকি সেটা তারা ভাবে না।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. ছানোয়ার হোসেন জানান, আমিসহ একটি কারিগরি দল সোমবার সেখানে গিয়েছিলাম। তবে, পদ্মা নদীতে বর্তমানে তীব্র স্রোত থাকায় তারা কোন কাজ করতে পারেনি। স্রোত কমলে খাম্বা পুনঃস্থাপনের কাজ করা হবে।