মাসুদুর রহমান খান, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়ন কৃষকদলের সদস্য সচিব জসিম চৌধুরী মামলার আসামির তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করেছেন লক্ষ্মীপুরের কৃষক দলের এক নেতা। এ সংক্রান্ত মুঠোফোন কথোপকথনের অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর কৃষক দলের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে অডিও রেকর্ড সাজানো বলে দাবি করেছেন ওই নেতা।
অভিযুক্ত কৃষক দল নেতার নাম জসিম চৌধুরী। তিনি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়ন কৃষক দলের সদস্যসচিব। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক জহির উদ্দিনকে মামলা থেকে বাঁচানোর বিনিময়ে তিনি টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
রায়পুর উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক কাউসার মোল্লা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অডিও ছড়িয়ে পড়ার পর গত বুধবার রাতে জসিম চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ আছে, সবুজ ভূঁইয়া নামের এক বিএনপি নেতা অস্ত্র ও হত্যাচেষ্টার মামলা করবেন বলে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা জহির উদ্দিনকে ভয় দেখান কৃষক দলের জসিম চৌধুরী। ওই মামলা থেকে রেহাই পেতে হলে তিনি জহিরকে জমি বিক্রি করে হলেও দুই লাখ টাকা দিতে বলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ১৭ মিনিটের অডিওতে জসিম চৌধুরীকে বলতে শোনা যায়, ‘ভাই বোঝেন তো! অস্ত্র মামলা, হত্যা মামলা। যদি এই মামলা একবার ইস্যু হয়ে দাঁড়ায় তাহলে ২, ৪, ১০ ও ১৫ বছরেও কিছু হবে না। জমি বিক্রি করেন, আমারে টাকা দেন।’তবে কৃষক দল নেতা জসিম চৌধুরী দাবি করেন, অডিওটি এডিট করা। তিনি দলের নেতাদের বিষয়টি জানিয়েছেন। স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা জহির উদ্দিনের কাছে চাঁদা চাননি। তবে শোকজ নোটিশ পেয়েছেন এবং সেটির জবাব দেবেন।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জহির উদ্দিন বলেন, আমি কোনো অপকর্ম করিনি। জসিম ফোন করে হত্যা ও অস্ত্র মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার অজুহাত দেখিয়ে আমার কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করেছেন। একপর্যায়ে তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে জমি বিক্রি করে হলেও আমি যেন তাঁকে টাকা দিই।
রায়পুর উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক কাউসার মোল্লা বলেন, দুই দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য জসিমকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির আলোকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।