যশোর প্রতিনিধি: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে যশোরে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। গতকাল শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা পর্যন্ত এ জেলায় ১১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। টানা ভারি বর্ষণের কারণে যশোর পৌর শহরের কয়েকটি নিম্নঞ্চল এলাকা প্লাবিত হয়েছে, ওই সকল এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। টানা বর্ষণে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নআয় ও জলাবদ্ধ এলাকার মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যশোর জেলার ১৪০ হেক্টর জমির আগাম শীতকালীন সবজির ক্ষেত।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে শনিবার ৮১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত এবং রোববার বেলা ১১টা পর্যন্ত ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের মাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাতের এই ধারা অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস রয়েছে বলেও জানায় আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিস থেকে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকেই যশোরে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত যশোরে ১০৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাতের এই ধারা অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস রয়েছে।
এদিকে রোববার সকাল থেকে যশোর শহর বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে। ভারি বর্ষণে তলিয়ে গেছে যশোর পৌর এলাকার নিম্নাঞ্চল। বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে শহরের বেজপাড়া, টিবি ক্লিনিকপাড়া, স্টেডিয়ামপাড়া, মোল্লাপাড়া, শংকরপুর, মিশনপাড়া, উপশহর, চাঁচড়া, কারবালা, এমএম কলেজ এলাকা, নাজিরশংকরপুর, বকচর, আবরপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার প্রায় ৩০টি সড়ক। এরমধ্যে শংকরপুর, বেজপাড়া, খড়কি, কারবালা, স্টেডিয়ামপাড়ার অনেক বাড়ি ঘরে পানি প্রবেশ করেছে।
এদিকে টানা ভারি বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যশোর জেলায় বিভিন্ন এলাকার আগাম শীতকালীন সবজির ক্ষেত। যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সুশান্ত কুমার তরফদার জানান, শনিবার থেকে শুরু হওয়া ভারি বর্ষণে যশোর জেলার ১৪০ হেক্টর সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এসকল ক্ষেতে কৃষকেরা আগাম শীতকালীন সবজি, টমেটো, পাতাকপি, ফুলকপি, পালংশাক ইত্যাদি চাষাবাদ করেছিল।
তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত শতকরা ২৫ ভাগ কৃষি জমি ভারি বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রোববার সারাদিন এমন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে। সারাদেশে মোট সবজি চাহিদার প্রায় ৭০ ভাগ সবজি এ যশোর জেলা থেকে চাষাবাদ করে সরবরাহ করে কৃষকেরা।