মো. আবুল হাসেম, মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি: পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ সহ চরমোনাইর পীর ঘোষিত ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে মাটিরাঙ্গা বাজারের সড়কের পাশে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়৷
সভায় চরমোনাই পীর ঘোষিত ৯ দফা দাবি বাস্তবায়ন ও ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত, তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন৷
ইসলামী আন্দোলনের মাটিরাঙ্গা উপজেলার সভাপতি মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহকারী প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাও: মো. নুরুল করিম আকরাম। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মাও : দেলোয়ার হোসাইন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সহ অনেকে বক্তব্য দেন। ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির শুরা সদস্য মাও: মহিউদ্দিন বিন সুরুজ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে সকল আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, বাংলার মাটিতে অবৈধ দখলদার ও কোন ধরণের চাঁদাবাজের ঠাঁই নাই, চাঁদাবাজ দেখলে বেঁধে রাখুন, তাদের আইনের হাতে সোপর্দ করে দিন। দেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে স্বৈরশাসনের অবসান হয়েছে। এখন সময় দেশ গড়ার। এখন সময় সাম্য, সামাজিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচারভিত্তিক বাংলাদেশ নির্মাণের।
গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর ইসলামী আন্দোলনের পীর সাহেব চরমোনাই দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষণ করে দেশ সংস্কারের নয় দফা দাবি প্রস্তাব করেন।
সমাবেশে ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার করে অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত এবং তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, সংখ্যানুপাতিক (PR) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি তোলেন।