ঢাকা
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ৮:৪৮
logo
প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪

নারী হেনস্তার ঘটনায় সংঘবদ্ধ চক্রের তথ্য প্রকাশ, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে সেই ফারুক

কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজার সৈকতে তরুণীকে লাঠি দিয়ে মারধর, কান ধরে ওঠবসসহ হেনস্তার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের তথ্য দিয়েছেন গ্রেপ্তার হওয়া ফারুকুল ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার এক দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশকে এ তথ্য দিয়েছেন ফারুক। তিনি রিমান্ডে সৈকতে তরুণী হেনস্তার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের কয়েকজনের নামও পুলিশের কাছে প্রকাশ করেন। পুলিশ জানিয়েছে, তারা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সৈকতে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। আর ফারুক বর্তমানে কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছেন।

পুলিশ জানায়, গেল ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে হেনস্তার শিকার নারী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় ফারুকুল ইসলাম ও নয়ন রুদ্র নামের দুই যুবকের নাম উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করেন। এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে কক্সবাজার শহরের ফজল মাকের্ট এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ ফারুকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। ফারুকুল চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার মাজেদুল ইসলামের ছেলে। তবে তিনি কক্সবাজারে শহরের বাহারছড়া এলাকায় বসবাস করতেন। ১৫ সেপ্টেম্বর পুলিশ ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। ১৭ সেপ্টেম্বর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত বৃহস্পতিবার রিমান্ডে এনে ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

পুলিশের দেয়া তথ্যমতে, ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে মামলার বাদী তাঁর একজন বান্ধবীর সঙ্গে সুগন্ধা সৈকতে ঘুরতে যান। তখন ফারুকুল ইসলাম ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে তাঁদের গতিরোধ করেন এবং গালিগালাজ করতে থাকেন। সৈকতে অপকর্ম করার অভিযোগ তুলে ফারুকুল ইসলামসহ কয়েকজন একপর্যায়ে তাঁদের লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে শুরু করেন। লাঠির আঘাতে বাদী গুরুতর আঘাত পেয়েছেন।

কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হিমেল হাসান বলেন, ফারুকুল এখনও আদালতে জবানবন্দি দেননি। রিমান্ড শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তরুণীদের হেনস্তার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় পর্যটকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2024 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram