লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে নুর আলম ওরফে নুরু টেইলার নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। রোববার রাত ৯টার দিকে চন্দ্রগঞ্জের পাচপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহত নুর আলম সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া এলাকার কালামিয়ার ছেলে ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
পুলিশ জানায়, নুর আলম চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া ২নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রাজনীতির পাশপাাশি তিনি টেইলারের কাজ করতেন। ৫ আগষ্টের সরকার পতনের পর থেকে নুর আলম ব্যবসা বন্ধ করে বাড়িতে আত্মগোপনে ছিল। রোববার রাত ৯টার দিকে আনোয়ার হোসেন নিকু ও দামা কালুর ভাই খোকনসহ ১৫/২০ জনের একদল সন্ত্রাসী নুর আলমের বাড়িতে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে পিটিয়ে নুর আলমকে গুরুতর আহত করে। এসময় বাধা দিতে গেলে স্ত্রী-সন্তানকে পিটিয়ে আহত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় নুর আলমকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছেলে আরিফ হোসেন বলেন, বিএনপির সমর্থক স্থানীয় সন্ত্রাসী আনোয়ার হোসেন নিকু ও দামা কালুর ভাই খোকনসহ ১৫/২০জনের একদল সন্ত্রাসী রাত ৯টার দিকে পাঁচপাড়ার বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় ঘরে হামলা চালায়। এতে আমার বাবা নুর আলমকে পিটিয়ে হত্যা করে। বাধা দিতে গেলে তাদের ওপর হামলা করে দুইজনকে আহত করে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কারণে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় বলে দাবি করেন নিহতের ছেলে আরিফ হোসেন ও চাচা শাহ আলম।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. জয়নাল আবেদিন বলেন, হাসপাতালে আনার আগে নুরু মারা গেছে। তবে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) মো. মফিজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে কারা জড়িত বা কি কারণে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জড়িতদের চিহিৃত করে গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।