মোঃ রাকিবুল ইসলাম, ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি: পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ছাত্রলীগ কর্মীর হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে জামায়াত নেতা ও তার স্ত্রী। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কালাইয়া গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।
আহত রমিজ সিকদার(৫৫) কালাইয়া গ্রামের মৃত ফজলুল সিকদারের ছেলে। তিনি জামায়াতে ইসলামীর শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের কালাইয়া ওয়ার্ড সভাপতি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, হাসিনা সরকারের আমলে রমিজ সিকদারের জমি জোর করে দখল করেন একই গ্রামের আবুল কালাম ও তার দুই ছেলে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা নোমান ও জাহিদ। আজ সকালে রমিজ সিকদার সেই জমির পাশে গেলে অতর্কিত হামলা চালায় নোমান ও তার ছোট ভাই জাহিদ। এতে গুরুতর আহত হয় রমিজ সিকদার ও তার স্ত্রী মালেকা বেগম। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে ইন্দুরকানী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে আহত রমিজ সিকদারের ছেলে ছাবরুল সিকদার জানান, বিগত হাসিনা সরকারের আমলে জোড় করে কালাম সিকদার ও তার ছেলে ছাত্রলীগ ক্যাডার নোমান আমাদের জমি দখল করে। পরে আমরা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মতিউর রহমানের কাছে অভিযোগ দিলে সে জমি ছেড়ে দিতে বললেও তারা জমি ছাড়ে নাই। বরং আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আজ সকালে আমার বাবা জমির পাশে গেলে তাদের অতর্কিত হামলায় আমার বাবা ও মা গুরুতর আহত হয়। আমি এর বিচার চাই।
অভিযুক্ত নোমান বলেন, এটা মিথ্যা ঘটনা। আমার মা ও স্ত্রী পুকুরে গোসল করা অবস্থায় রমিজ সিকদার তা গোপনে মোবাইলে ভিডিও করতেছিলো। সেই সময় আমি দেখলে দৌড়ে গিয়ে তাকে বাধা দিলে এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তি হলে রমিজ মিয়া পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত খায়।
এ বিষয়ে ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত র্কমর্কতা কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, হামলার ঘটনা শুনেছি, তবে লিখিত অভিযোগ পায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।