তৌহিদ চৌধুরী প্রদীপ, জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: দীর্ঘ ১৬ বছর পর সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী'র উন্মুক্ত সীরাতুন্নবী (সা:) মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা আড়াইটায় উপজেলা শিল্পকলা অডিটোরিয়াম হলে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর উপাধক্ষ্য মাও: তোফায়েল আহমেদ খান।
জামালগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সভাপতি মো: হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো: ফখরুল আলম চৌধুরী'র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সুনামগঞ্জ জেলা আমীর উপাধক্ষ্য মাও: তোফায়েল আহমেদ খান, জেলা জামায়াতের সেক্রটারী মমতাজুল হাসান আবেদ, জামালগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সাবেক সভাপতি মাও: হাবিবুর রহমান, ছাত্রনেতা রাশেদুল ইসলাম জিসান প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জামালগঞ্জ সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মো: লুৎফুর রহমান, দলীয় নেতা, সিরাজুল হক ওলী, আ: মুহিত, খাইরুল কবীর চৌধুরী এসদোহা, সাইফুল ইসলাম, ঈসমাইল, মোশায়েল আহম্মদ, আকিকুল হক প্রমুখসহ এলাকার গণ্যমান্যব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বিশ্ব নবী শ্রেষ্ঠ ও শেষ নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে এই পৃথিবীতে রহমাত সরূপ প্রেরণ করেছেন। যাকে সৃষ্টি না করা হলে কিছুই সৃষ্টি হতোনা। শান্তি, ভালোবাসা ও সৌহার্দের ধর্ম ইসলাম ধর্ম নিয়ে তিনি এই পৃথিবীতে আর্বিভূত হয়েছিলেন। তার দোয়ার বরকতে আমরা আজ পৃথিবীতে সুন্দর ভাবে বেঁচে আছি। তিনি সব সময় সারা জীবন মানুষের কল্যানে সকল সৃষ্টি জীবের কল্যানে দোয়া এ কাজ করে গেছেন। তিনি বিদায় হজ্জ্বের বাণীতে বলেছিলেন তোমাদের কাছে দু'টি জিনিস রেখে যাচ্ছি এই দুটিকে আঁকড়িয়ে রেখো। একটি হলো " পবিত্র কোরআন অপরটি হাদিস" কোরআন হাদিসের নির্দেশ মতো চল্লে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন ও সুন্দর হবে, দুনিয়া ও আখিরাতে শান্তির ফয়সালা হবে। দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি বা মুক্তি পেতে চান তা হলে রাসুলুল্লাহ সাঃ কে নেতা মেনে নেন। তার নেতৃত্ব ছাড়া তার নির্দেশ ছাড়া কোন পথ কোন নেতাই কাজে আসবেনা। তিনিই আমাদের আদর্শ নেতা। আল কোরআনের শাসন ব্যবস্থা ছাড়া মানুষের মুক্তির কোন পথ নেই। বিশ্ব মানবতার কল্যান চাইলে ইসলামী আদর্শ ও শাসন ব্যবস্থা ছাড়া কোন উপায় নেই।
বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী সব সময় শান্তিতে বিশ্বাসী। দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। অতীতে জামায়াতে ইসলামীর সম্পর্কে অনেক বিভ্রান্ত ছড়ানো হয়েছে। বিগত ১৫ বছরের অবৈধ স্বৈরাচারী সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে জামায়াতে ইসলামী দল কে নিষিদ্ধ করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। যারা অন্যায় জুলুম ও মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন নিপীড়ন করে তাদের উপর আল্লাহর পক্ষ থেকেই গজব নেমে আসে।
বিগত ১৫ বছরে যাঁরা রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকায় রাস্তায় হাটে মাঠে মনে যেখানে চায় সেখানেই তারা ভাস্কর্য করে টাকা নষ্ট করেছে। তারা কোন দিন নবীর শানে কোরআনের সম্মানে মাহফিলগুলো পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে। তারা কি কখনো নবীজি (সা:) এঁর নামে রিচার্স করেছে?? এমন প্রশ্ন রাখেন তারা। অনুষ্ঠান শেষে সুস্থ সংস্কৃতি ও নান্দনিক বিকাশের প্রত্যয়ে হামদ্- নাতে রাসূল (সা:) ও নাশিদের সুরের মূর্ছনায় মাতিয়ে তুলেন স্থানীয় ইসলামি সঙ্গীত শিল্পীরা।