শাহাজাদা এমরান, কুমিল্লা: কুমিল্লার দেবিদ্বারে হত্যার পর ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা এক দিনমজুরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের সামাদ মিয়ার একটি টিনের ঘর থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম নুরুল ইসলাম (৪০)। তিনি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার পানিওন্দা গ্রামের মরগিছ ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় নোয়াজ আলী (৬০) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। নোয়াজ আলী হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বড়কান্দি এলাকার আব্দুল আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, কাজের সন্ধানে হবিগঞ্জ থেকে এসে পিরোজপুর গ্রামের সামাদ মিয়ার একটি টিনের ঘরে ভাড়া থাকে নোয়াজ আলী। দেবিদ্বারের বিভিন্ন এলাকায় দিনমজুরের কাজ করত সে। একই এলাকার নুরুল ইসলামের সাথে তার টাকা লেন-দেন নিয়ে বিবাদ ছিল। এর জেরে নুরুল ইসলাম দৈবশক্তি দিয়ে নোয়াজ আলীর ছেলেকে হত্যা করেছে বলে তার ধারনা। ছেলে হত্যার বদলা নিতেই দিনমজুরের কাজ দেবার কথা বলে নুরুল ইসলামকে গত ২১ সেপ্টেম্বর কৌশলে হবিগঞ্জ থেকে দেবিদ্বার নিয়ে আসে সে। থাকতে দেয় তার ভাড়া ঘরে। ঐদিন রাতেই নুরুল ইসলামকে হত্যা করে ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখে।
স্থানীয় মুদি দোকানদার আলী আকবর, গ্রামবাসী রফিকুল ইসলাম ও স্বপ্না বেগম জানান, শুক্রবার সকাল থেকে এলাকায় তীব্র দুর্গন্ধ হচ্ছিল। সেই দুর্গন্ধের উৎস খোঁজতে গিয়ে লোকজন দেখতে পায় নোয়াজ আলীর ভাড়াকরা ঘরের বেড়ার নীচে ভিটিতে শেয়াল বা কুকুরের আচঁরে সৃষ্ট গর্ত দিয়ে মানুষের হাত বেড়িয়ে আছে। ঘরের মেঝেতে লাশ পুঁতে রাখা আছে বুঝতে পেরে তারা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘরের তালা ভেঙ্গে মেঝে খুড়ে লাশটি উদ্ধার করে।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) শাহিনুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। ঘটনাস্থল থেকে আটক নোয়াজ আলী জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তাকে আসামী করে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে ।