মোঃএনামুল হক, পঞ্চগড় প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে রাজাকার যুদ্ধাপরাধী বলায় পঞ্চগড়ে সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও দৈনিক করতোয়ার সম্পাদক মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পঞ্চগড় জেলার সাবেক এক তুখোর ছাত্রনেতা ও জেলা জাসাস এর সাধারণ সম্পাদক ইউনূস শেখ রোববার পঞ্চগড় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতে বিচারক হিসেবে ছিলেন জাহিদ হাসান। তিনি মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
সোমবার আদালত চত্বরে এক প্রেস ব্রিফিং এ পঞ্চগড় জেলা জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট আদম সূফি এসব তথ্য জানান।
প্রেস ব্রিফিং এ তিনি জানান, ২০১০ সালের ২১ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব কবিতা কন্ঠ পরিষদের এক অনুষ্ঠানে সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে রাজাকার এবং যুদ্ধাপরাধী বলেছিলেন। তিনি একজন সেক্টর কমান্ডার এবং স্বাধীনতার ঘোষক ছিলেন। উনার সম্পর্কে এমন একটা মন্তব্য একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে মামলার বাদী ইউনূস শেখ আজও ভুলতে পারেননি বলে জানান। তখনই তিনি আইনের আশ্রয় নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে পারেননি। এজন্য এখন তিনি মামলাটি দায়ের করেন। খবরটি করতোয়া পত্রিকায় ছাপা হওয়ায় পত্রিকার সম্পাদককে মামলার আসামী করা হয়।
বিজ্ঞ আদালত তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানীর তারিখ ধার্য করেন।মামলার বাদী ও পঞ্চগড় জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনূস শেখ বলেন, কি কারণে সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এমন কথা বলেছেন, এটা জানতে এবং আইনের আশ্রয় নিতে তখন চেষ্টা করেও পারিনি। এখন সুযোগ এসেছে বলে আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কিনা, সেক্টর কমান্ডার ছিলেন কিনা, মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক ছিলেন কিনা, এটা আমি মহামান্য আদালতের কাছে জানতে চেয়েছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, এ্যাড. আনসারুল ইসলাম হিমু।