মোঃ খাইরুল ইসলাম চৌধুরী, কালিয়া (নড়াইল) প্রতিনিধি: নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর পূর্বপাড়া গ্রামে নবগঙ্গা নদী ভাঙ্গনে নিঃস্ব হয়েছে অনেক পরিবার। তারা খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। নদী ভাঙ্গনে সর্বশান্ত হয় ওই পরিবারগুলো।
মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) খুলনা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান ও জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী উজ্জল কুমার সেন ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
ভুক্তভোগীরা জানায়, নদী ভাঙ্গনে মুহুর্তের মধ্যে গ্রামের রিলু ফকির, মাকসুদ ফকির, মাহাবুর ফকির, রোকেয়া বেগম, মহাদত শেখ, জনি শেখ, ইমদাদ মাষ্টার, ঝর্না বেগম, রিপনা বেগম, কালু সরদার, শহিদুল মোল্যাসহ ১১ টি পরিবারের বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরবর্তীতে আরও ১৫ টি পরিবার কিছু মালামাল সরাতে পারলেও রক্ষা হয়নি বসতভিটা। এ ছাড়া তীরবর্তী একটি মসজিদসহ অনেকগুলো পরিবার রয়েছে মহা আতঙ্কে। অনেকের ফসলী জমিও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অতি দ্রুত নদী শাসনের ব্যবস্থাসহ পুনর্বাসনের দাবী জানান ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান বলেন, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হয়ে সরেজমিনে এসেছি। ভাঙ্গনের প্রবণতা কীভাবে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিগগির নবগঙ্গা নদীতে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা চিহ্নিত করে স্থায়ীভাবে ভাঙ্গন রোধে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।