তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: কোনো কারন ছাড়াই সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের বড়দল উচ্চ বিদ্যালয় বন্ধ রাখার ঘটনায় বিতর্কিত সেই প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে শোকজ করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। ঐ প্রধান শিক্ষককে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দেয়ার জন্য গত মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) দুপুরে চিঠি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর পূর্বে গত সোমবার (০৭ অক্টোবর) বিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হলেও প্রধান শিক্ষকের নির্দেশেই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তালা বদ্ধ ছিল স্কুলের গেইটসহ প্রতিটি দরজা। কোন শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ছিলনা স্কুল এলাকায়। এই ভিডিও ফুটেজ ফেইসবুকে প্রকাশিত হলে বিষয়টি নজরে পড়ে সবার। আর এমনটাই জানা গেছে এলাকায় খোঁজ নিয়ে। এ নিয়ে সচেতন ও অভিভাবক মহলে চরম ক্ষোব বিরাজ করছে। ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেন অভিভাবকগণ।
এছাড়াও স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, এই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে প্রভাব বিস্তার করে নিয়মিত স্কুলে আসতেন না, কারন উনার বাড়ি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ধনপুর ইউনিয়নে যার জন্য ১১-১২ টায় স্কুলে আসতেন অনেক দিন আসতেও না নিজ বাড়িতে থাকতেন নানান অজুহাতে। প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগে নিজেই নিয়োগ বাণিজ্য করাসহ নানান অনিয়মের সাথে জড়িত থেকে নিজেকে ক্ষমতাধর মনে করতেন। নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে। এছাড়াও নানান অনিয়মে বিতর্কিত হয়েছেন এই শিক্ষক। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে নিজেকে পাল্টিয়ে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের নেতা কর্মীদের সাথে আতাত শুরু করেছেন নিজেকে রক্ষায়।
এদিকে শোকজের চিঠি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বড়দল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, আমি শোকজের জবাব দিব।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শোকজ করে বলা হয়েছে কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার জবাব দেয়ার জন্য। এখন দেখি কি জবাব দেয় এরপর ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম জানান, স্কুল বন্ধ রাখার কোনো কারন ছিল ঐ দিন, তবে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ, গত ৭ অক্টোবর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের কাছে স্কুলের গেইটে ও দরজায় তালা আবার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা আছে কোনো শিক্ষক ও ছাত্র নেই একটি ভিডিও ফুটেজ ফেইসবুকে প্রকাশ হয়েছে জানতে চাওয়া মাত্রই এক গণমাধ্যম কর্মীর সাথে উত্তেজিত হয়ে উঠেন। তিনি বলেন, আমি ছুটেতে ছিলাম আবার বলেন আজ উপজেলায় খেলা ছিল সেখানে আমিসহ একজন শিক্ষক ছিলাম। স্কুল বন্ধের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে আরও ভাইরাল করেন। দেখি কে কি করতে পারে। আর কে আমাকে কি করতে পারে। আমি স্কুলে গিয়ে দেখব কি করতে পারি। এক পর্যায়ে গণমাধ্যম কর্মীদের কে দেখে নেবারও হুমকিও দেয় এই প্রধান শিক্ষক।