কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি: কাপাসিয়া-মনোহরদী আঞ্চলিক সড়কে মুরগী ব্যবসায়ীর মুরগী পিকআপে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ডাকাতের ছুরির আঘাতে একজন নিহত ও একজন আহত হয়েছে। রবিবার রাত ২ টার দিকে কাপাসিয়ার সালদৈ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাকির ইসলাম (২০) ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার মরেজপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। আহত চালক হৃদয় (২৭) কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর থানার মাদখোলা গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে।
কাপাসিয়া থানার ওসি মো. কামাল হোসেন জানান, ডাকাতির ঘটনায় একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার গলায় ক্ষত রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কাপাসিয়া থানার এস আই আবদুল মমিন বলেন, শনিবার খামারীর নিকট হতে ব্রয়লার মুরগী ক্রয় করার উদ্দেশ্যে গাজীপুর থেকে পিকআপ নিয়ে হৃদয় ও জাকির ইসলাম রাত ২টার দিকে কাপাসিয়ার সালদৈ হতে আড়ালগামী সড়কের মোল্লা বাড়ির পাশে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন ডাকাত পিকআপের গতি রোধ করে। ডাকাতরা ড্রাইভারকে পিকআপ থেকে নামিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে মুরগী ক্রয়ের টাকা দাবী করে। সে টাকার বিষয়ে কিছু বলতে পারে না জানালে পিকআপের ভিতরে বসে থাকা হেলপারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় এবং শরীরে কুপিয়ে রক্তাক্ত গুরতর জখম করে। তার কাছ থেকে এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
আহত হৃদয় জানান, ঘটনার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পিকআপে উঠে হেলপারকে ধাক্কা দিলে তাকে মৃত দেখতে পায়। তার শরীরে ও গলায় অনেক রক্ত দেখে তাকে নিয়ে পিকআপ চালিয়ে কাপাসিয়া বাসস্ট্যান্ডে এলাকায় সাইফুলের চায়ের দোকানের পাশে এসে দোকানদারকে বিস্তারিত বললে সে কাপাসিয়া থানা পুলিশকে অবহিত করে। স্থানীয়রা তাদের কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার মামুনুর রহমান বলেন, ডাকাতির ঘটনায় একজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। শুনেছি, ডাকাতির এ ঘটনায় একজন ঘটনাস্থলে মারা গেছেন।