নুরুল আলম সাঈদ, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি: বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মায়ানমার সীমান্তবর্তী সদর ইউনিয়নের ভালুখাইয়ার শিলের ঝিরি নামক স্থানে বিজিবি অভিযান চালিয়ে মিয়ানমারে পাচারের চেষ্টাকালে মালিকবিহীন বাংলাদেশী কাপড়, লুঙ্গি, ব্যাগ, ঘড়ি, চশমা, কোমল পানীয়, বিস্কুট সহ বিভিন্ন পণ্য জব্দ করে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ৯ ঘটিকায় নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) বিজিবি'র অধীনস্থ ভালুখাইয়া বিওপির টহল কমান্ডার ৬০৪৭৪ হাবিলদার মোঃ জামাল হোসেন এর নেতৃত্বে টহল দল বিওপি থেকে আনুমানিক ১.৫ কি.মি. পূর্ব দিকে এবং সীমান্ত পিলার-৪৮/২ এস এর শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক ৮০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পশ্চিম দিকে শিলের ঝিরি নামক স্থান থেকে মিয়ানমারে পাচারের চেষ্টাকালে মালিকবিহীন বিভিন্ন প্রকার মালামাল উদ্ধার করে। এই সময় বিজিবির অভিযানের খবর পেয়ে চোরাকারবারীরা পালিয়ে যায়।
উদ্ধারকৃত বাংলাদেশী পণ্য গুলি হলো- লুঙ্গি ১৯৩ পিস, বড় ব্যাগ ১৯ পিস, ছোট ব্যাগ ৩০ পিস, মহিলাদের থামি ১২০ পিস, প্রিন্ট গজ কাপড় ৫৫ পিস, ঘড়ি ৭০ পিস, চশমা ৫০ পিস, গজ কাপড় ৭০৯ পিস, ছোট গেঞ্জি ২৮ পিস, মহিলাদের জামা ৪০ পিস, জর্জেট ওড়না ১০ পিস, স্কার্টের নিচের পার্ট ০৫ পিস, কোমল পানীয় ৩৬০টি বোতল, এনার্জি বিস্কুট ৫ কার্টুন। উদ্ধারকৃত মালামাল পরর্বতী কার্যক্রমের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান বিজিবি।
উল্লেখ্য, নাইক্ষ্যংছড়ির দৌছড়ি, ঘুমধুম ও সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে স্থানীয় চোরাকারবারিরা অধিক মুনাফার লোভে বাংলাদেশী বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী মিয়ানমারে পাচার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। উক্ত এলাকায় সীমান্ত সুরক্ষায় নিয়োজিত নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ ও ৩৪ বিজিবির জোয়ানেরা কঠোর ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে আসছে। যার ফলশ্রুতিতে প্রায় সময় মাদক ও চোরাকারবারী আটক হচ্ছে এবং বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সহ হরেক রকম মালামাল জব্দ করা হচ্ছে। সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা স্থানীয় ভাবে দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যদের এমন তৎপরতাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
১১ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)'অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাহেল আহমেদ নোবেল বলেন, সীমান্তের চোরাকারবারিরা এসব বাংলাদেশী পণ্য অবৈধ পন্থায় পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারে পাচারের জন্য মজুদ করছিল। বিজিবি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে এই সব পণ্য উদ্ধার করে। তিনি আরো জানান, বিজিবি সীমান্তে মাদক ও চোরাকারবারি প্রতিরোধে সর্বদা তৎপর রয়েছে।