কক্সবাজার প্রতিনিধি: ছাত্র জনতার বিপ্লবে গণহত্যার বিচারসহ ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নে কক্সবাজার আদালতে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে আদালত প্রাঙ্গণে কক্সবাজারের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এ ঘেরাও কর্মসূচী পালন করেন। গণজমায়েতে বক্তারা অনতিবিলম্বে কক্সবাজারের আদালত গুলোতে এখনও বহাল তবিয়তে থাকা স্বৈরাচার আমলের বিচারক, আইনজীবী ও অসাধু কর্মকর্তাদের অপসারণ দাবী করেন।
বক্তারা বলেন, ফ্যাসিবাদী, মুজিববাদী, ফ্যাসিস্টদের যারা সহযোগিতা করছেন, তারা ফ্যাসিস্টদের হয়ে কাজ করছে। তাদের কোর্ট থেকে অবশ্যই অপসারণ করতে হবে। তারা ফ্যাসিবাদী যোগ্যতায় বিচারক হয়েছেন। আওয়ামী লীগের দোসর আইনজীবীরা তাদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন।
তারা আরও বলেন, অনেক শহিদের রক্তে দেশ আজকে স্বাধীন হয়েছে। এখন শহিদের রক্তের সঙ্গে, আহতদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা যাবে না। গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ এদেশের আইনের শাসনকে মুছে দিয়েছে। তাদের উচিত ছিল আইন শাসন প্রতিষ্ঠা করা।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কক্সবাজারের সমন্বয়ক সাহেদুল ওয়াহেদ সাহেদ জানান, এখন আমাদের একটাই দাবি ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারদের দোসর বিচারকদের অবশ্যই অপসারণ করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত অপসারণ করা হবে না ততক্ষণ তাদের কর্মসূচি চলবে। এখন থেকে আওয়ামী লীগের দোসর বিচারক, আইনজীবীরা কোর্টে আসতে পারবে না বলে জানান সমন্বয়ক তাশদিদুর রেজা।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কক্সবাজারের ছাত্র সমন্বয়ক জিনিয়া শারমিন জানান, কক্সবাজারের আইন ও বিচার বিভাগে এখনও সংস্কার হয়নি। কক্সবাজারের আদালতের পরিবেশ পরিবর্তন করা না হলে, ছাত্র-জনতা দুর্নীতিবাজদের হটাতে বাধ্য হবেন।
গণজমায়েতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমন্বয়ক তাশদিদুর রেজা, সমন্বয়ক সাহেদুল ওয়াহেদ সাহেদ, সমন্বয়ক জিনিয়া শারমিন, সাগর ইসলাম, নোবিল জালাল, মোহাম্মদ জুনায়েদ প্রমুখ। এই গণজমায়েতে বিপুলসংখ্যক ছাত্র জনতার সমাগম ঘটে।