হোসাইন মোহাম্মদ দিদার, দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: দাউদকান্দি পৌরসভার উত্তর বাজার চেঙ্গাকান্দি ঘাট এলাকার ১১টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩ কোটি টাকার মত হবে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ধারণা। রাত আড়াইটায় ফায়ার সার্ভিসের একটি অগ্নিনির্বাপণ টিম প্রায় ১ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে। গভীর রাতে এ অগ্নিকাণ্ডের কারণে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয়রা জানান, "২৬ অক্টোবর দিবাগত রাত ২ টায় একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ধারণা করা হয়েছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে একটি দোকানে প্রথমে আগুন লাগে। পরে সেই আগুন জড়িয়ে পড়ে আশপাশের দোকানে। মানুষের আনাগোনা না থাকায় গভীর রাতে আগুন লাগার কারণে এতে ১১টি দোকান পুড়ে গেছে। এর মধ্যে রড সিমেন্টের দোকান ২টি, মুদি দোকান ২টি, হার্ডওয়্যার দোকান ২টি, কীটনাশক দোকান ১টি ও বাকীগুলো অন্যান্য দোকান।"
আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে জানতে চাইলে কীটনাশক দোকান ব্যবসায়ী জহির সরকার জানান, "গভীর রাতে আগুন লাগার কারণে এর সূত্রপাত জানা যায়নি। তবে আমার ধারণা কোনো দুর্বৃত্ত এ আগুন লাগিয়ে থাকতে পারে। আমার এই সময়টা ব্যবসার মৌসুম। দোকানের সব মাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার ১০ লাখ টাকার মত ক্ষতি হয়েছে।"
আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ শাওন স্টোরের মালিক জানান, "আমার ধারণা পাশের দোকানের বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ক্ষতির কথা বলে আর কী হবে আমার তো যা সম্বল ছিল সবই আগুনে পুড়ে ছাই। তবে আমার ক্ষতির পরিমাণ ২০ লাখ টাকার মত হবে।"
দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) জুনায়েত চৌধুরী জানান, "আমি আগুন লাগার খবর পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের একটি চৌকস টিম আসে। আগুনের নিয়ন্ত্রণ নিতে নিতে এতে ১১ টি দোকান পুড়ে গেছে। পরিশেষে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস টিম। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।"
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাঈমা ইসলাম বলেন, "খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলের জায়গাটি পরিদর্শন করে এসেছি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে ক্ষতির পরিমাণ লিপিবদ্ধ করতে বলা হয়েছে। সরকারিভাবে যতটুকু সহায়তা করা সম্ভব সেটা করা হবে।"