ঢাকা
২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বিকাল ৫:২১
logo
প্রকাশিত : নভেম্বর ২০, ২০২৪

পুলিশ নিয়োগে অনিয়ম, দুদকের মামলায় মাদারীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার কারাগারে

সুজন হোসেন রিফাত, রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি: পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় মাদারীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদারকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর এ আদেশ দেন। এর আগে সুব্রত কুমার হালদার উচ্চ আদালত থেকে তিন মাসের জামিনে ছিলেন। সুব্রত কুমার সর্বশেষ রাজশাহী সারদা পুলিশ একাডেমিতে কর্মরত ছিলেন।

বুধবার দুপুর ১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মাদারীপুর সম্বনিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: আকতারুজ্জামান। এই মামলায় বাকি ৪ আসামি জামিনে আছেন। আর বাকি একজন পলাতক রয়েছেন।

দুদক সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ২৮ মে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে হেডকোয়ার্টার্স। পরে অসংখ্য নারী-পুরুষ আবেদন করলে ওই বছর ২৬ জুন ৩১ জন পুরুষ ও ২৩ জন নারীকে কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগেই গত ২০১৯ সালের ২৪ জুন থেকে ২৬ জুন কয়েক ধাপে ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা শহরের বিভিন স্থান থেকে গচ্ছিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ হেড হেডকোয়ার্টার্সের একটি বিশেষ দল। পরে অনুসন্ধানে পুলিশ হেড হেডকোয়ার্টার্স জানতে পারে উদ্ধারকৃত টাকা বিভিন্ন পদে পুলিশের চাকুরী প্রত্যাশীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের সুপারিশে ২০২৩ সালের ৫ জুলাই দুদকের মাদারীপুর সম্বনিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো: হাফিজুল ইসলাম।

মামলায় আসামি করা হয় সাবেক পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার, সাবেক কনস্টেবল নুরুজ্জামান সুমন, সাবেক কনস্টেবল জাহিদুল ইসলাম, সাবেক টিএসআই গোলাম রহমান, পুলিশ হাসপাতালের সাবেক মেডিকেল সহকারি পিয়াস বালা ও মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি গ্রামের মৃত সফিউদ্দিন ফরাজীর ছেলে হায়দার ফরাজীকে। পরে চলতি বছরের ১১ জুলাই সাবেক পুলিশ সুপারসহ ৫ জনের নামে আদালতে অভিযাগপত্র দাখিল করে দুদক। এছাড়া ঘটনায় জড়িত না থাকায় হায়দার ফরাজী নামে এক আসামীকে মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে সুপারিশ করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো: হাফিজুর রহমান।

প্রসঙ্গত, মাদারীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার সর্বশেষ রাজশাহী সারদা পুলিশ একাডেমিতে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত ছিলেন। অপরদিকে কনস্টেবল নুরুজ্জামান সুমন, জাহিদুল ইসলাম, গোলাম রহমান বরখাস্ত। এদিকে পিয়াস বালা চাকুরীচ্যুত। পুলিশের নিয়োগ কমিটির তিন সদস্যদের মধ্যে সভাপতি ও প্রধান ছিলন মাদারীপুরের তৎকালীন পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার। এছাড়া বাকি সদস্য ছিলন, মাদারীপুরের তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল ইসলাম ও গোপালগঞ্জের সাবেক সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুদ।

মাদারীপুর দুদকের সহকারী পরিচালক মো: আকতারুজ্জামান বলেন, ‘প্রধান আসামি সুব্রত কুমার হালদার উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। তিনি মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্থায়ী জামিনের জন্য আবেদন করেন। পরে আদালত শুনানি শেষে আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশনা দেন। এ মামলায় অন্য আসামিরা কারাভোগ শেষে তারা নিম্ন আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।

দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো: আনিসুর রহমান বলেন, ‘সুব্রত কুমার হালদার স্বেছায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে তীব্র আপত্তি জানানো হয়। পরে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। সুব্রত কুমারের বিরুদ্ধে দুদকে স্পষ্টভাবে দুর্নীতি প্রমাণ পাওয়ায় অভিযাগপত্র আদালতে দাখিল করেছে দুদক।

logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2024 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram