হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ধান কাটাকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদের সাথে আতিকুল ও নূরল গংদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা বর্তমান হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি সীমান্তে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আহতরা হলেন- উপজেলার টংভাঙ্গা ইউপি সদস্য ও গেন্দুকুড়ি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হামিদ(৪০), সাকিব(১৭), সৌরভ(১৮), মিনারুল(৩৮), সিরাজুল(৩৮) আবদার রহমান(৫০), জুয়েল(৩৬), সুমন(২৯), মনির(২০), কাজল(২৪) ও জিবন(১৯)।
জানা গেছে, উপজেলার গেন্দুকুড়ি উত্তর সীমান্ত এলাকার আবাদি জমি নিয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদের সাথে আতিকুল ও নূরলদের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। ওই জমির ধান কাটাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন ওই এলাকায় জমায়েত হতে থাকে। এ সময় তাদের মাঝে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। এর এক পর্যায়ে আতিকুল, নূরল গংদের লোকজন ইউপি সদস্য হামিদ ও তার লোকজনের উপর লাঠি সোঠা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। ফলে দু'পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এতে করে উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও বিজিবি গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে টংভাঙ্গা ইউপি সদস্য আহত আব্দুল হামিদ বলেন, ওই জমি আমার। আমি আবাদ করেছি। এমনকি ধান কেটে জমিতে রেখেছি। সেই ধান নিয়ে আসার আগেই তারা লাঠি সোঠা নিয়ে এসে ধান তুলে নিয়ে যায়। আমরা বাধা দিলে তারা অতর্কিত ভাবে হামলা করে। আমি আমার ছেলেসহ আরও তিনজন আহত হই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নূরলের শ্যালক হাফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বোন জামাই এই জমি আগে থেকে ভোগ করে আসছে। তারা জোরপূর্বক জমি নিজেদের দাবি করছে। আজকে আমরা ধান তুলতে আসলে তারা এসে আমাদের বাধা দেয়। তাদের কাছে যদি জমির কাগজ থেকে থাকে দেখাবে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আনোয়ারুল হক বলেন, আহতদের মধ্যে গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। আর বাকিদের হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রধান করা হবে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন্নবী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।