মো: মোশাররফ হোসেন মনির, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও নিরীহ মানুষদের উপর জুলুম বন্ধে এবং দলমত নির্বিশেষে মুরাদনগর উপজেলায় সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখতে সাড়ে ৬ লক্ষাধিক জনগণেরর কাছে খোলা চিছি লিখেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ্ মোফাজ্জল হোসেন (কায়কোবাদ)। সোমবার সকাল ১০টায় এই চিঠি উপজেলা সদরে বিতরণের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌছে দেয় উপজেলা বিএনপির ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
চিঠিতে কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের পাচঁ বারের সাবেক সংসদ সদস্য কায়কোবাদ লিখেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিগত ১৬টি বছর গুম, খুন, জেল-জুলুম-নির্যাতন থেকে মুক্তি পেয়ে আশা করি আপনারা আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছে। ২০০৯ সালে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর আমাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে একটি সাজানো মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ২০১০ সাল থেকে আমার প্রিয় মুরাদনগরবাসীর নিকট থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। কিন্তু সুদূর প্রবাসে থেকেও মুরাদনগরের নির্যাতিত সকল মজলুম জনতার সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর আমি রেখেছি। কিন্তু আজ অত্যন্ত দুঃখের সাথে শুনতে হচ্ছে, মুরাদনগরে পতিত আওয়ামী শাসনামলে যারা চাঁদাবাজি ও দখলবাজি করেছে তারা এখনও বিএনপির নামধারী নেতাদের আশ্রয়ে বেশ কিছু জায়গায় চাঁদাবাজি ও দখলবাজি অব্যাহত রেখেছে। বিএনপির প্রভাব খাটিয়ে তারা নিরীহ মানুষদের উপর জুলুম করার অপচেষ্ঠা করছে।
তিনি আরো লিখেন, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একাধিকবার ঘোষণা দিয়েছেন, কেউ দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও দখলবাজি করলে তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন। আমিও গত ৫ আগষ্টের পর থেকে একই কথা বলে আসছি। কিন্তু কয়েকদিন যাবত এ ধরনের একাধিক ঘটনার খবর আমাকে বিচলিত করছে। আমার স্পষ্ট বার্তা, আমার প্রিয় মুরাদনগরে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কোন নেতাকর্মী যদি কারোর কাছে অন্যায় আবদার করে, চাঁদাবাজি ও জুলুম কাজে লিপ্ত হয় তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিকসহ আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ছাত্র-জনতার বিপ্লব হয়েছে বৈষম্যহীন, চাঁদাবাজি ও দখলবাজ মুক্ত মানবিক বাংলাদেশ গঠনের জন্য। আওয়ামী লীগ নেতারা মুরাদনগরে যে ভাবে চাঁদাবাজি, লুটপাট, জমি ও সরকারি জায়গা দখল করেছে একইভাবে যদি এখনও এ কর্মকান্ড কেউ করতে চায়, তাহলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কিভাবে স্বার্থক হবে? মুরাদনগরে আর কেউ এ ধরনের অন্যায় করলে আমি তা বরদাশত করব না। তাই বিএনপির সুনাম ক্ষুন্ন হয় এমন কাজ যারা করবে তাদের রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। মুরাদনগরের মানুষ নিরাপদে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করবে। আমার প্রিয় মুরাদনগরের প্রত্যেকটা মানুষের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
খোলা চিঠি বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন, মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোল্লা মজিবুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন ভূইয়া, নজরুল ইসলাম, হাফেজ মোহাম্মদ আলী, বিএনপির নেতা দুলাল দেব নাথ, কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অরুপ নারায়ণ পৌদ্দার পিংকু, নবীপুর পূর্ব ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রুহুল আমীন তুহিন, নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হেদায়েত হোসেন, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মাসুদ রানা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক আহম্মেদ বাদসা, কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক খাইরুল হাছান, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিন প্রমূখ।