নিজেদের প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক – ব্যাংক এশিয়া। এ উপলক্ষ্যে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে আড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আর কে হোসেন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাফিউজ্জামান ও এএনএম মাহফুজ এবং উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জিয়াউল হাসান মোল্লা, এস. এম. ইকবাল হোছাইন, আলমগীর হোসেন, মুহাম্মদ মোস্তফা হাইকাল হাশমী, এস এম আনিসুজ্জামান, আরেকুল আরেফিন ও মীর্জা আজহার আহমেদ। এছাড়াও, অনুষ্ঠানে ব্যাংকটির বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
নিজেদের যাত্রালগ্ন থেকেই ব্যাংক এশিয়া গ্রাহকদের জন্য নতুন নতুন ব্যাংকিং সেবার দ্বার উম্মোচন করে চলেছে, অগ্রণী ভূমিকা রাখছে দেশের অর্থনৈতিক দিগন্ত উন্মোচনে। দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের ব্যাংকিং সেবার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১৪ সালে ব্যাংক এশিয়ার হাত ধরেই দেশে প্রথম এজেন্ট ব্যাংকিং যাত্রা শুরু করে, যার মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত, দুর্গম জনপদের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের দোরগোড়ায় ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে যাচ্ছে। এ উদ্যোগ গ্রহণ করে আর্থিক অর্ন্তভুক্তির মাধ্যমে দেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে ব্যাংকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
ব্যাংক এশিয়ার ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আর কে হোসেন। বক্তব্যে তিনি দেশের ব্যাংকিং খাতে ব্যাংক এশিয়ার অবদান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “ব্যাংক এশিয়া গত ২৫ বছরের পথচলায় ব্যাংকিং সেবায় নতুন নতুন মাত্রা যোগ করে চলেছে। কৃষি ও এসএমই ঋণ সহজীকরণ, সরকারের সামাজিক সুরক্ষা ভাতা প্রদান দ্রুতকরণ, ইসলামিক ব্যাংকিং সেবায় আইএসআর (ইনকাম শেয়ারিং রেশিও) মডেল প্রবর্তন, পেয়োনিয়ার পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস চালু, এজেন্ট ব্যাংকিং প্রবর্তন, মাইক্রো-মার্চেন্ট সেবা প্রবর্তন, ভয়েস ব্যাংকিং সেবা চালু, কোভিড পরবর্তী জীবনযাত্রার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাংকিং সেবায় পরিবর্তন আনয়ন সহ ব্যাংকিং সেবায় নব নব দ্বার উন্মোচন করেছে।”
দেশের ব্যাংকিং খাত ও মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ব্যাংক এশিয়া। যাত্রার শুরু থেকেই ব্যাংকটি বহুমুখী করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা বৃত্তি প্রদান, সমাজের সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের জন্মান্ধ শিশুদের বিনামূল্যে চক্ষু অপারেশন ও ব্যাংক এশিয়া-মা আমিরান হাসপাতাল নির্মাণ।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ২৭ নভেম্বর যাত্রা শুরু করে দক্ষ উপায়ে কার্যক্রম পরিচালনা ও যুগোপযোগী সেবা প্রদানের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে ব্যাংক এশিয়া বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে স্থান করে নেয়। করপোরেট ব্যাংকিং দিয়ে যাত্রা শুরু করা ব্যাংক এশিয়ার বর্তমানে ১৩৫টি শাখা, ১৫টি ইসলামিক উইন্ডো, ৫ হাজারের বেশি এজেন্ট আউটলেট, ৫০ হাজারের বেশি মাইক্রো-মার্চেন্ট রয়েছে। যার মাধ্যমে ব্যাংকটি মানুষের দোরগোড়ায় স্বাচ্ছন্দ্যে সকল প্রকার ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। এছাড়াও, ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ১২টি শাখা এবং লন্ডন ও আমেরিকায় ব্যাংকের দু’টি এক্সচেঞ্জ হাউজ রয়েছে।