সুজন হোসেন রিফাত, রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি: মাদারীপুর জেলার শিবচর থেকে (আন্তজার্তিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ) ইসকনের অফিস গুটিয়ে নিতে ২৪ ঘন্টা সময় দিয়েছে স্থানীয় আলেম সমাজ ও সাধারণ জনতা, এদিকে রাজৈরে ইসকন নিষিদ্ধের দাবীতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। বুধবার(২৭ নভেম্বর) সকালে রাজৈরে সরকারি কেজেএস স্কুলের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিলে করে রাজৈর থানার সামনে গিয়ে শেষ হয়, বিক্ষোভ কারি শিক্ষার্থীরা ইসকন নিষিদ্ধের দাবী জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এসময় রাজৈর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মাসুদ খানের আশ্বাসে তারা বিক্ষোভ তুলে মেন। এদিকে দুপুরে জেলার শিবচর পৌর এলাকার সোনালী মার্কেটে ইসকনের অফিসসহ সকল অফিস ২৪ ঘন্টার মধ্যে গুটিয়ে নিতে আল্টিমেটাম দেন স্থানীয় জনতা।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই শিবচরের টিএন্ডটি রোড এলাকার সোনালী মার্কেটে অফিস নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসেছে ইসকন। চট্টগ্রামে আইনজীবিকে হত্যার প্রতিবাদে জেলার শিবচরে ইসকনের অফিস গুড়িয়ে দেবার চেষ্টা করেন আলেম সমাজ। এসময় পুলিশ প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে ২৪ ঘন্টা সময় দেন। এরই মধ্যে ইসকনের সদস্যদের অফিস ত্যাগসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ করার দাবী জানান। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অফিস গুটিয়ে নেওয়া না হলে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন আলেম সমাজের লোকজন।
দেখা গেছে, টিএন্ডটি মোড় এলাকায় ইসকন অনুমোদিত শ্রী শ্রী রাধারমন নামহট্ট মন্দির এর একটি সাইনবোর্ডসহ অফিস রয়েছে। আলেমসমাজ ও সাধারণ মানুষ সাইবোর্ডটি খুলে ফেলে।
ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ এর শিবচর উপজেলা শাখার সভাপতি হাফেজ জাফর আহমাদ বলেন,'আমরা জানতে পেরেছি শিবচরে ইসকনের অফিস আছে। এখানে তাদের সদস্যরা থাকেন। এখান থেকে নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালায় তারা। এর বিরোধিতা আমরা আগে থেকেও করে আসছি। আমরা শান্তিকামী মানুষ এখানে অবস্থান নিয়েছি। তবে পুলিশ প্রশাসন আমাদের কাছে ৩০ মিনিটের সময় চেয়েছেন। আমরা আশা করবো নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ইসকনের অফিস বন্ধ করা এবং এই সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যদের গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।'
তিনি আরও বলেন,'আমরা সময় দিয়েছি। এরই মধ্যে শিবচরে ইসকনের সকল কার্যক্রম, অফিস বন্ধ করে তাদের চলে যেতে হবে। তা নাহলে আমরা শান্তিকামী মানুষদের সাথে নিয়ে এই সকল জায়গায় অবস্থান নেবো।'
জানতে চাইলে শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো.মোকতার হোসেন জানান,'শিবচরে ইসকনের একটা অফিস আছে। আলেম সমাজের লোকজন এসেছিল। ইসকনের ৩ জন লোক ছিল। তাদের বাড়ি শরিয়তপুর। তাদের চলে যেতে বললে, তারা চলে যায়। অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি।'