একে মিলন, সুনামগঞ্জ: পূর্ব বিরোধের জেরে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউপির রফিনগর গ্রামের দরিদ্র কৃষক বিএনপির কর্মী সাজ্জাতুলের বাড়ি-ঘরে হামলা, লুটপাটসহ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ভাংচুরের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রফিনগর এলাকাবাসীর আয়োজনে রফিনগর তিনহাটি দক্ষিণ বাড়ির সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে এলাকার তিন শতাধিক লোকজন অংশগ্রহন করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন, নুরুল আমিন, এমদাদুল হক, শহিদুল ইসলাম, আব্দুল কাদির, বেলী আক্তার, রোজিয়া বেগম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, রফিনগর গ্রামের ধন মিয়ার ছেলে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী হামলাকারী বায়োজিত মিয়া, সহোদর রুজেল মিয়া, রিপন মিয়া, বশর উদ্দিনের ছেলে নজরুল মিয়া, নজরুল মিয়ার ছেলে রিহাদুল মিয়া, কদরুল ইসলামের ছেলে শিপন মিয়া ও ধন মিয়ার ছেলে সবুজ মিয়া গংরা দেশীয় দাড়াঁলো অস্ত্র দা, রামদা, লাঠিসোটা নিয়ে ১৫ জুলাই সকাল ৭টায় দরিদ্র কৃষক বিএনপির কর্মী সাজ্জাতুলের বসত বাড়িতে গিয়ে ঘর দরজা ভাংচুর, তার বৃদ্ধ পিতা মাতাকে বেদড়ক পিটিয়ে আহত করে। এ সময় সাজ্জাতুলের ধান বিক্রির ঘরে রক্ষিত ২লাখ ৬০ হাজার টাকা, দুই ভরি স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৭লাখ টাকা ও মালামাল এবং গরু বাছুর নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করলে প্রাণে হত্যারও হুমকি দিয়ে যায়। এ সময় তারা সাজ্জাতুল ইসলামের চাচা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের স্মৃতিসৌধ ভেঙ্গে ফেলে।
ঘটনার সাথে সাথেই ঐদিন গত ১৫ই জুলাই বিকেলে নামাংঙ্কিত ব্যাক্তিদের (আওয়ামীলীগ নেতা) আসামী করে দিরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ও তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতাসীন থাকায় পুলিশ হামলার শিকার বিএনপির কর্মী কৃষক সাজ্জাতুলের মামলাটি আমলে নেয়নি পুলিশ। হামলাকারীরা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়াতে তাদের প্রাণে হত্যার হুমকি ধমকী ও ভয়ভীতিতে মামলার বাদি সাজ্জাতুল ইসলাম তার পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন। অবিলম্বে হামলাকারী এই সমস্ত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দোসরদের দ্রুত গ্রেফতার করতে পুলিশ প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানান।