সজিবুল ইসলাম, লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌরসভায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নির্মিত আরসিসি রাস্তা ১০ মাস না যেতেই ধসে গেছে। এতে হাজারো মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এবং স্থানীয় প্রকৌশলীদের যোগসাজশে আরসিসি ঢালাই কাজে নির্ধারিত অনুপাত না মেনে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার ও পরিমাণে রড কম দেওয়ায় সড়ক ধসে গেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার কোভিড-১৯ রেসপন্স রিকভারী প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে দুই রাস্তার একটি পৌরসভার খালের তীরবর্তী কেশবপুর ব্রীজ হতে কবরস্থান পযন্ত ৭০০ মিটার আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ করে মেসার্স একে এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত বছরের ১৬ আগষ্ট রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করে শেষ হয় এই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তাটির প্রায় ৪০ মিটার রাস্তা ধসে গেছে। নিয়মানুযায়ী রাস্তার ঢালাইয়ের জয়েন্টে বা মেচিংবারে রড ব্যবহার করা হয় নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, সম্পন্ন রাস্তায় শিডিউল অনুযায়ী ঢালাইয়ের মিশ্রণ করা হয়নি। খাঁচা নির্মাণে রডের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। কোথাও জয়েনিং বা মেচিংবারে রড ব্যবহার করা হয়নি। আবার বেশ কিছু জায়গায় ঢালাইয়ের ৫ ইঞ্চির কম থিকনেস দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জিয়াউল ও আল আমিন বলেন, গত ৯ মাসে আগে যেমন তেমন ভাবে রাস্তাটি করা হয়। সেই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ভয়ে কাজে অনিয়ম করলেও কেউ প্রতিবাদ করার সাহস দেখায় নি। ফলে খালে পানি না থাকলেও গত ১০/১২ দিন আগে হঠাৎ করে রাতের বেলায় ধসে পড়ে রাস্তাটি। এতে চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছি। দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ঠিকাদার আবুল খায়ের বলেন, নিয়মানুযায়ী রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে৷খালের মাটি ধসে যাওয়ায় সড়ক ধসে গেছে।
পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, রাস্তার নিচে মাটি সরে যাওয়ায় ধসে গেছে। রাস্তাটির জয়েন্টে রডের মেচিংবার দেওয়া হয়নি। ডুয়েল বার থাকার কথা ছিল। আইটেমটা মিসটেক হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মেহেদী হাসান বলেন, ঢাকা থেকে প্রকল্প অফিসের প্রকৌশলীরা সরেজমিনে তদন্ত করে গেছেন। তারা প্রকল্প অফিসে তদন্ত রিপোর্ট দিবে। এছাড়া আমি তিনজন প্রকৌশলীর সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তারা পরিদর্শন করে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।