নাসির উদ্দীন বুলবুল, টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে পাঁচদিনের জোড় ইজতেমায় অংশ নিতে আসা চার মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ব ইজতেমার শুরায়ী নেজাম অনুসারীর মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত মুসল্লিরা হলেন- ফরিদপুরের নগরকান্দা থানার দুলালী এলাকার আব্দুল হামিদ মাতাব্বের ছেলে আব্দুল হাকিম আকন্দ (৭২), রংপুরের কোতোয়ালি থানার বৌরাগীপাড়া এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে হায়দার আলী (৩৫), দিনাজপুর সদর থানার মস্তপুর এলাকার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে কাউসার আলী (২৮) ও সিরাজগঞ্জ সদর থানার শহিদুল ইসলাম (৬৫)।
হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বাদ ফজর আম বয়ানের মাধ্যমে টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে শুরু হয় পাঁচদিনের জোড় ইজতেমা। প্রতিবছর বিশ্ব ইজতেমার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে এ জোড় হয়ে থাকে। শুরায়ী নেজামের এ জোড় ইজতেমায় অংশ নিয়েছে কয়েক লাখ মুসল্লি। এর মধ্যে জোড় ইজতেমায় অংশ নিতে আসা চার মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দোয়ার মাধ্যমে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) এ জোড় ইজতেমা শেষ হবে।
এ বিষয়ে মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, রোববার দুপুরে বুকে ব্যথা অনুভব করলে হায়দার আলীকে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে কাউসার আলী নামে আরও একজন মারা গেছেন। জোড় ইজতেমার চতুর্থ দিনে আমল করার সময় শহিদুল ইসলাম বুকে ব্যথা অনুভব করেন। পরে তার ছেলের মাধ্যমে আশুলিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি মারা যান। সোমবার বাদ ফজর ইজতেমা মাঠে তার জানাজা শেষে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায় তার পরিবার।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও গত শুক্রবার বাদ আসর ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার দুলালী গ্রামে আব্দুল হামিদ মাতাব্বের ছেলে আব্দুল হাকিম আকন্দ (৭২) ইজতেমায় মারা যান। ইজতেমা ময়দানে জানাজা শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ নিয়ে এবারের জোড় ইজতেমায় চার মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দোয়ার মাধ্যমে শেষ হবে জোড় ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা।