কুমিল্লায় চিকিৎসকের অবহেলায় মিম নামে ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২৩ জুন) রাত ৮টার দিকে শহরের হেলথ এন্ড ডক্টরস জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
রোগীর পরিবারের দাবি, অপারেশন থিয়েটারে অতিরিক্ত অ্যানেসথেসিয়া দেয়ার কারণে হার্ট ব্লক হয়ে মারা গেছে মীম। সে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অলুয়া কৃষ্ণপুর এলাকার মো. বিল্লাল হোসেনের মেয়ে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, ঈদের আগে গলায় টনসিলের ব্যাথা নিয়ে মীম তার মায়ের সাথে কুমিল্লার ঝাউতলা এলাকার ফেইথ মেডিকেল সার্ভিসেস এন্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টারে নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ সার্জন চিকিৎসক মো. জহিরুল হকের কাছে আসে। পরে চিকিৎসক জহিরুল হক কিছু পরীক্ষা করার পর অপারেশনের পরামর্শ দেয়।
পরামর্শ অনুযায়ী, রোববার বিকেলে মীম তার মা লিপি আক্তারের সাথে টনসিল অপারেশনের জন্য কুমিল্লার ঝাউতলা এলাকার ফেইথ মেডিকেল সার্ভিসেস এন্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টারে আবারও জহিরুল হকের কাছে আসেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে চিকিৎসক জহিরুল অপারেশনের জন্য মীমকে একই এলাকার হেলথ এন্ড ডক্টরস জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তারা আরও জানান, হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে অ্যানেসথেসিয়া দেয়ার পরপরই মীমের শারিরীক অবস্থা খারাপের দিকে চলে যায়। ১০ মিনিট পর চিকিৎসক জহিরুল বের হয়ে স্বজনদের বলে মীম হার্ট অ্যাটাক করেছে। তাকে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে নিতে হবে। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায় মীম।
এ বিষয়ে ডা. জহিরুল হকের সাইনবোর্ডে থাকা নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।